ঠান্ডার এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম।
সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আপনাদের সকলকে জানাই শুভেচ্ছা ও স্বাগতম। আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে ঠান্ডার এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম সমূহ সম্পর্কে। আপনারা যারা ঠান্ডা রোগে আক্রান্ত আর যারা ঠান্ডার এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম সম্পর্কে জানতে চান। আজকের আর্টিকেল আপনাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।চলুন ঠান্ডার অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের নাম সহ বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
ঠান্ডার এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম কি ?
আমাদের শরীরে ঠান্ডা লাগলে আমরা স্বাভাবিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করি। যে কারণে আমরা ডক্টরের পরামর্শ নিই অথবা ফার্মেসী থেকে ঔষধ নিয়ে এসে সেবন করি। ঠান্ডা লাগার কারণে আমরা সাধারণত যে সকল ওষুধগুলো সেবন করি সেগুলোকে যদি ঠান্ডা না কমে তবে আমরা এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করে থাকি।
আমরা অনেকেই ঠান্ডার এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম জানিনা। যে কারণে আমরা ঠান্ডার এন্টিবায়োটিক ঔষধের নামজানার জন্য গুগল অথবা ইউটিউবে সার্চ দিয়ে থাকি। আপনাদের কথা ভেবেই আজকে আমরা এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঠান্ডার এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম গুলো।
- Zimax 250
- Encilor 10
- Keto A 100
- Axodin 180
- Fexo 120
- Sedno 5
- Cefaxil 500
আমাদের ঠান্ডা লাগার কারণে এই সকল এন্টিবায়োটিক দিলে আমরা খেতে পারি। তবে খাবার পূর্বে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে যে কারণে ডক্টরে পরামর্শ অনুযায়ী না সেবন করে নিজে নিজে ঔষধযবন করলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। তাই ওষুধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
শরীরে ঠান্ডা কেন লাগে ?
ঠান্ডা বিভিন্ন কারণে লাগতে পারে। শুধুমাত্র যে শীতেই ঠান্ডা লাগে তা নয়। গরমের সময়ও আমাদের শরীরের ঠান্ডা লাগান কারণে বিভিন্ন রকম রোগ হতে পারে। ঋতু পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডা রোগে মানুষ বেশি পরিমাণ ভুগে থাকেন। অনেক সময় ঠান্ডা লাগার কারণে, জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি রোগ দেখা দেয়।
এন্টিবায়োটিক ওষুধ ডক্টরে পরামর্শ ব্যতীত খাওয়া উচিত ?
এন্টিবায়োটিক ঔষধ ডক্টরের পরামর্শ ব্যতীত খাওয়া উচিত নয়। কারণ এন্টিবায়োটিক প্রচুর শক্তিশালী ঔষধ। যখন সাধারণ ওষুধে অসুস্থ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় না তখন ডক্টররা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করার অনুমতি দেন। এছাড়া যে কোনো পরিস্থিতি এন্টিবায়োটিক সেবন করা থেকে বিরত থাকতে বলেন। তাই আপনারা যদি এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম জেনেও থাকেন ডক্টরের পরামর্শ ব্যতীত এই ওষুধ সেবন করবেন না।
ঠান্ডার এন্টিবায়োটিক ডোজ কতদিন নিতে হবে ?
জ্বর হবার পর আমরা সাধারণত যে এন্টিবায়োটিক গুলো সেবন করে থাকে সেগুলো দুই থেকে তিন ডোজের হয়ে থাকে। অর্থাৎ দিনে দুইবার বা তিনবার সেবন করতে হয়। এক্ষেত্রে যদি কোন ডোজ খেতে ভুলে যান তাহলে একসঙ্গে দুইটি ডোজ খাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে একই নিয়মে ছয় ঘণ্টা বা ৮ ঘন্টা অন্তর পরবর্তী ডোজ খেতে হবে।
এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার পূর্বে সতর্কতা
জ্বর হলে স্বাভাবিকভাবে আমাদের শরীরে তাপমাত্রা বেশি থাকে, অপরদিকে খাবারের রুচিটা অনেক কম থাকে।এ ধরনের অবস্থায় আমাদের শরীর অত্যন্ত দুর্বল থাকে। এ ধরনের সময় আমরা অনেকে একটু ভুল কাজ করে থাকি, সেটা হলো আমরা ভারী কোন খাবার না খেয়ে এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করি।
যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দুর্বল শরীরে খালি পেটে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া মারাত্মক ভুল। তাই এন্টিবায়োটিক এবং ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই ভারী খাবার খেয়ে নেবেন। পাশাপাশি ঔষধ খাওয়ার পরে অনেকেই পানি পান করে না, ওষুধের সর্বোচ্চ কার্যকারিতা পেতে হলে আপনাকে সর্বনিম্ন এক গ্লাস পানি পান করতে হবে।
ঠান্ডা লাগলে করণীয় কি ?
আমাদের শরীরে ঠান্ডা লাগলে আমরা অসুস্থতা বোধ করি। ঠান্ডা লাগলে আমাদের বেশ কিছু করণীয় রয়েছে। যেন আরো বেশি ঠান্ডা না লাগে সে দিকে নজর রাখতে হবে। ঠান্ডা লাগার জন্য যে সকল অসুখগুলো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেই সকল অসুখগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য যা যা করার প্রয়োজন তা করতে হবে।
যেমন, ঠান্ডা লাগলে সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা এগুলো হয় প্রাথমিক অবস্থায়। সুতরাং ঠান্ডা লাগলে ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী এই সকল রোগগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য ওষুধ সেবন করতে হবে। এবং ডক্টর যেভাবে বলবে সেভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলে আমরা ঠান্ডা রোগ থেকে পরিত্রাণ পাব।
অতিমাত্রায় এন্টিবায়োটিক খেলে শরীরে কি ক্ষতি হতে পারে ?
আমরা অনেক সময় ডক্টরের পরামর্শ ব্যতীত বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করে থাকি। যখন আমাদের রোগ প্রতিরোধ হয় না তবে আমরা ডক্টরের পরামর্শ ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করি। কিন্তু আমরা সকলেই জানি ডক্টরের পরামর্শ ব্যতীত এন্টিবায়োটিক অথবা যে কোন ওষুধ সেবন করা উচিত নয়।
চলুন জেনে নেই অতিমাত্রায় এন্টিবায়োটিক খেলে কি ক্ষতি হতে পারে আমাদের।অতিমাত্রায় আমরা যদি এন্টিবায়োটিক সেবন করে থাকি তবে আমাদের শরীরের বেশ সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি যদি অতিমাত্রায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা হারিয়ে যাবে বলে ডক্তররা জানিয়েছেন।
তাই অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ ব্যতীত এন্টিবায়োটিক সেবন করা যাবে না। সাধারণত জ্বর, সর্দি, কাশি এই সকল অসুখের জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত নয়।যদি ইনফেকশন বা সংক্রামক দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছে যায় তবে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাংলাদেশে যে সকল ফার্মেসি রয়েছে সেই সকল ফার্মেসীগুলোতে এন্টিবায়োটিক বিক্রির নিষেধাজ্ঞা রয়েছেন ডক্টরের পরামর্শ বা পিক্সেশন না দেওয়া পর্যন্ত। সুতরাং এখান থেকে আমরা বুঝতে পারছি এন্টিবায়োটিক আমাদের জন্য কেমন হতে পারে। এন্টিবায়োটিক এর মূল লক্ষ্য থাকে রোগের জীবাণু একদম মেরে ফেলা।
অ্যান্টিবায়োটিক কতটা পাওয়ার ফুল সেটা আমরা ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছি।অতিমাত্রায় এন্টিবায়োটিক সেবন করলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা হারিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে আমাদের সাধারণ কোন অসুখ হলেও সেগুলো সহজে ভাল হতে চায় না।
শুধুমাত্র এন্টিবায়োটিক অতিমাত্রায় সেবন করার ফলে এমন সমস্যা দেখা দেয়। যদি ডাক্তাররা এন্টিবায়োটিক লিখে দেয় তবে তারা যেভাবে ডোজ পূরণ করতে বলবে ঠিক সঠিকভাবেই আপনারা পূরণ করবেন।
কখন এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়া উচিত ?
আমরা অনেকেই আছি সামান্য জ্বর সর্দি কাশি নাক দিয়ে পানি পড়া এমন অসুস্থতা ভোগ করলেই ডক্টরের পরামর্শ না নিয়েই এন্টিবায়োটিক নিয়ে চলে আসি। আবার অনেক ডাক্তার রয়েছে যারা রোগীদের অসুখ খুব দ্রুত সময়ে ভালো করার জন্য প্রথম স্টেপেই অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দেয়।
রোগীরাও খুব দ্রুত সময় ভালো হয়ে যাওয়ার জন্য পরবর্তী সময়েও আবার একই রোগে আক্রান্ত হলে তারা এন্টিবায়োটিক খেয়ে নেয়। এতে করে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যায়।পরবর্তী সময়ে যদি সামান্য অসুখ হয় তবুও অন্যান্য ঔষধে কাজ করে না। এমনকি অ্যান্টিবায়োটিক ও কাজ করে না তার শরীরে।
কেননা অপ্রয়োজনীয় ভাবে এন্টিবায়োটিক ঔষধ খেতে খেতে তার রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা হারিয়ে যায়। পরবর্তীতে ডাক্তারেরা অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। তাই সামান্য কিছু হলে আমরা এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাব না। যে সকল ডাক্তার সামান্য কারণে অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দেয় সেই সকল ডাক্তারদের কাছ থেকে পরামর্শ না নেওয়া উত্তম।
ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি, হলে এন্টিবায়োটিক ব্যতীত কি খাওয়া যেতে পারে ?
ঠান্ডা জ্বর সর্দি এগুলোর সাথে আমরা সকলে পরিচিত। আমাদের প্রায় সকলেরই এমন রোগ মাঝেমধ্যেই দেখা দেয়। ঋতু পরিবর্তনের কারণে এই রোগ গুলো বেশি পরিমাণে দেখা যায়। এই সকল রোগগুলোর কারণে আমাদের প্রাথমিক অবস্থায় অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা উচিত না।
প্রাথমিক অবস্থায় আমরা ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে পারি। অনেকেই রয়েছেন ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত যে কোন ওষুধ ব্যবহার করেন। অবশ্যই আপনারা এই সকল বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকবেন। ডক্টররা যেমন ভাবে বলবে ঠিক সেভাবে চলবেন। সময় একটু বেশি লাগলেও আপনার এই সমস্যাটি সঠিকভাবে সমাধান হবে।
আর আপনি যদি অ্যান্টিবায়োটিক এর মাধ্যমে ভালো হতে চান তবে কিছুদিন পরে আবার আপনার এই একই রোগ হবে। তখন এন্টিবায়োটিকও সঠিকভাবে কাজ করবে না। সুতরাং অবশ্যই আপনারা ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী সকল কাজগুলো করবেন।