এফিলিয়েট মার্কেটিং কি – What is Affiliate Marketing?
এক কথায় বলতে গেলে এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো – মনে করুন আপনার বন্ধুর একটি বড় ইলেকট্রনিকস এর শোরুম আছে। সেখানে সে ইলেকট্রনিক এর বিভিন্ন জিনিস পত্র বিক্রি করেন। এখন আপনার কাছে অনেক লোক আছে যারা আপনার বন্ধুর ঐ জিনিস গুলো কিনতে পারে।
এখন আপনি কি করলেন আপনার বন্ধুর কাছে গিয়ে বল্লেন যে আমার কাছে এই জিনিস গুলো কিনার মতো অনেক লোক আছে। এখন আপনার বন্ধু বলেন যে তাহলে তুমি আমাকে এই জিনিস গুলো বিক্রি করে দাও তার বিনিময়ে তেমাকে এতো % কমিশন দিবো।
এখন আপনি মনে করুন যে আপনি একটি বা দশটি প্রোডাক্ট বিক্রি করলেন এখন আপনার বন্ধু কি করলো একটি প্রোডাক্ট এর ৫/১০% কমিশন আপনাকে দিলেন। এর ফলে এই প্রোডাক্টি বিক্রি করে দেওয়ার ফলে আপনি একটি কমিশন পেয়ে গেলেন এটাই মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ব্যাপারটি ঠিক একই রকম। কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবো এবং কোথায়/কোন মার্কেটপ্লেসে কাজ করবো কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করবো তা নিচে ধাপে ধাপে আমরা শিখবো।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
সকলের মনেই একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে যে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়। আপনারা এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার প্রথম মাসে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন।
ধীরে ধীরে আপনি যখন এফিলিয়েট মার্কেটিং পুরো পুরি ভাবে বুঝে ফেলবেন তখন থেকে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। আমার নিজের চোখে দেখা একজন প্রফেশনাল এফিলিয়েট মার্কেটার মাসে ২০০০ থেকে ৩০০০ হাজার ডলার আয় করছেন শুধু মাত্র আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে।
কিন্তু ২০০০/৩০০০ হাজার ডলার আয় করতে হলে আপনাকে এক থেকে দুই বছর এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হবে। বলা যায় যে এই এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসে আপনি যত সময় দিতে পারবেন এবং যত কাজ করতে পারবেন আপনি তত ইনকাম করতে পারবেন। সুতরাং আপনার অভিজ্ঞতা যত বাড়বে আপনি তত ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।
এখন এটা বুঝতেই পারছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়। তবে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যত সময় দিতে পারবেন তার উপর ডিপেন্ড করে আপনার আর্নিং জেনারেট হবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবো কি ভাবে? (How to start affiliate marketing)
এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবো কিভাবে –
সর্বপ্রথমে আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস গুলো খুজে বের করতে হবে। এবং সেখানে আপনি একাউন্ট করে সেসব এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসের পন্য গুলোকে আপনি বিক্রি করবেন এবং আপনার ঐ বিক্রিত পন্যের ৫ থেকে ১০ % মার্কেটপ্লেস গুলো এফিলিয়েট কমিশন হিসেবে আপনাকে দিবে।
জনপ্রিয় কয়েকটি এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসের নাম জেনে আসি –
1. Amazon.com
2. Alibaba.com
3. Aliexpress.Com
4. Namecheap.com
5. Commission junction (CJ)
6. Daraz.com
7. BD shope.com
উপরে বিশ্বের এবং বাংলাদেশের জনপ্রিয় কয়েকটি এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসের নাম উল্লেখ করা হয়েছে । তবে উপরে উল্লেখিত এফিলিয়েট মার্কেট প্লেস রয়েছে আপনি চাইলে সে মার্কেট প্লেসেও কাজ করতে পারেন।
বা উপরে উল্লেখিত যেকোনো একটি দিয়ে আপনি আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। তবে আপনি যদি বাংলাদেশী হয়ে থাকেন তাহলে আমার সাজেশন থাকবে আপনি Daraz অথবা BD Shope দিয়ে শুরু করতে পারেন।
কারন হচ্ছে Daraz এবং BD shope ছারা বাকি গুলো হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল এফিলিয়েট প্লাটফর্ম। ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্ম গুলোতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের এফিলিয়েট প্লাটফর্মে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে নিজেকে দক্ষ করে তোলেন।
তার পর ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্ম গুলোতে যান এতে করে আপনার অভিজ্ঞতা অনেকটাই বাড়বে। এবং আপনি স্বাদ ছন্দেই ইন্টারন্যাশনাল প্লাটফর্ম গুলোতে সফল হতে পারবেন খুব দ্রুত।
এখন মার্কেটিং ভাষায় এফিলিয়েট মার্কেটিং কি তা জেনে নিই।
এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো যেকোনো অনলাইন প্লাটফর্ম বা অনলাইন কোম্পানির ডিজিটাল পন্য বা সামগ্রী (Digital Product) বা যেকোন অনলাইন কোম্পানির ফিজিক্যাল পন্য/প্রোডাক্ট যা তাদের ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পাওয়া যায়, এমন যেকোনো জিনিস তাদের অনুমতি নিয়ে আমরা আমাদের নিজেদের ওয়েবসাইটের ব্লগ লেখার মাধ্যমে সেই পন্যের বর্ণনা দিয়ে এবং সেই পন্যের লিংক দিয়ে প্রমোট করবো।
পরে তা আমাদের ওয়েবসাইটে দেওয়া সেই পন্যের লিংক থেকে কেউ পন্যটি কিনলে তা থেকে আমরা একটা পারসেন্টেস পাবো, তাই মূলত এফিলিয়েট মার্কেটিং।
এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস তো চিনা হলো এখন আসা যাক আমরা কোন উপায়ে মার্কেটিং করে পন্য বিক্রি করবো।
কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবো?
পন্য গুলো আমরা যেভাবে প্রমোট করবো –
১. ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
২. ফেসবুক পেজের মাধ্যমে।
৩. ইউটিউবের মাধ্যমে,।
৪. ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ইত্যাদি।
তাছাড়া আপনারা চাইলে আরোও অনেক উপায় রয়েছে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার। যেমনঃ আপনি টুইটার ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন, লিংকড-ইনের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন,ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে ও করতে পারেন।
কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে বেশি ট্রাফিক জেনারেকৃত মাধ্যম গুলো হলো গুগল, ওয়েবসাইট, ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি। বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ এই মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে এখন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকে।
কেননা এই মাধ্যম গুলোতে বাকি যে মধ্যম এর কথা বলা হয়েছে তা থেকে অনেক বেশি ভিজিটর বা ট্রাফিক পাওয়া যায়। তাই বেশিরভাগ মানুষই এই মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকেন।
পন্য মার্কেটিং করার জনপ্রিয় ৪ টি প্লাটফর্ম এগুলো ছাড়াও অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে। এখানে জনপ্রিয় ৪ প্লাটফর্মের কথা উল্লেখ করা হলো। আপনারা চাইলে বাকি মার্কেটপ্লেস গুলোতেও কাজ করতে পারেন।
১। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে।
প্রথমে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে। এবং আপনি আপনার ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস থেকে পন্য নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে পন্য গুলো একের পর এক সাজাবেন।
এক কথায় বলতে গেলে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মতো করে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসের পন্য গুলোকে লিষ্টিং করবেন।
এবং আপনার ওয়েবসাইটকে ভালো মতো এসইও করে নিবেন। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসবে এবং তাদের পন্য গুলো ভালো লাগলে তারা আপনার ওয়েবসাইট থেকে পন্য কিনবে।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার দ্বিতীয় উপায় হচ্ছে ব্লগিং বা লেখালেখি করার মাধ্যমে। এখন জেনে নেয়া যাক ব্লগিং কি? ব্লগিং হলো একটি ওয়েবসাইটে আপনি আপনার ব্যক্তিগত থেকে শুরু করে আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তা নিয়ে লেখালেখি করাকেই মূলত ব্লগিং বলা হয়।
এখন জেনে নিই ব্লগিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে আমরা আমাদের পন্যটি বিক্রি করতে পারি। আমরা যেই পন্যটি নিয়ে মার্কেটিং করবো তা নিয়ে বিস্তারিত ব্লগিংয়ের মাধ্যমে ওয়েবসাইটে তুলে ধরতে হবে।
যেমন- এই পন্যটি একজন ক্রেতা ক্রয় করলে পন্যটি তার কোন কাজে লাগবে, এটি কিভাবে কাজ করবে, পন্যের গুনগত মান কেমন মোট কথা পন্যটি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরতে হবে। এবং ভালোভাবে ব্লগ পোস্টটি এসইও করতে হবে।
২। ফেসবুকের মাধ্যমে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে।
এখন আমরা জানবো কিভাবে ফেসবুক পেইজ এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়। সর্ব প্রথমে আপনার একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করে নিতে হবে। ফেসবুক পেজের নাম থাকতে হবে আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড।
যেমন আপনি বই নিয়ে কাজ করবেন তাহলে নাম দিতে পারেন Story book house এই রকম ভাবে আপনি আপনার প্রোডাক্ট রিলেটেড পেইজের নামটি সিলেক্ট করবেন।
নাম সিলেক্ট করা এবং পেইজ তৈরি করা হয়ে গেলে আপনি আপনার পেইজের মধ্যে এফিলিয়েট প্রোডাক্ট গুলো ধাপে ধাপে সাজাবেন। মানে সুন্দর ভাবে গুছিয়ে প্রোডাক্ট গুলো পেইজের মধ্যে আপলোড করবেন।
আপনার পেইজটিকে মোটামুটি একটি অনলাইন স্টোরের মতো রূপ দিবেন। এর পর হচ্ছে মার্কেটিং এর কাজ। এখন কথা হলো মার্কেটিং করবো কিভাবে একটাই উপায় আপনার পেইজটি প্রমোট করতে হবে।
এটি আপনি বুস্ট এর মাধ্যমে করতে পারেন অথবা বিভিন্ন গ্রুপ এ সেয়ার করে মার্কেটিং করতে পারেন। তবে ব্যক্তিগত ভাবে সাজেস্ট করবো বুস্ট এর মাধ্যমে পেজকে প্রমোট করুন কারন।
বুস্ট এর মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষের মানুষের কাছে আপনার পন্যটি পৌঁছে দিতে পারবেন এবং তাদের আপনার পন্য কিনার ইন্টারেস্ট অনেক বেশি থাকবে।
তবে ফেসবুক মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হবে বা ফেসবুকে এডস রান করা শিখতে হবে। আশা করছি কিভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয় তা ক্লিয়ার করতে পেরেছি।
৩। ইউটিউবের মাধ্যমে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ইউটিউব। ইউটিউবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনেক বেশি সেল জেনারেট করা সম্ভব। আমরা সকলেই জানি ইউটিউব গুগলেরই একটি কোম্পানি। ইউটিউব বিনোদনের জন্য সাধারন মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয় একটি মাধ্যম।
এখানে প্রতিদিন মিলিন মানুষ ভিজিট করে থাকে। আর তারই সুযোগ নিয়ে অনেক ইউটিউবার রয়েছে যারা একটি প্রডাক্ট রিভিউ ভিডিও করে সেই প্রডাক্টটি সুন্দর ভাবে গুছিয়ে মানুষের কাছে তুলে ধরে এবং নিচে সেই প্রডাক্টের এফিলিয়েট লিংল ব্যবহার করে।
এই ভাবে মানুষের প্রডাক্টটি ভালো লাগলে সে লিংকে ক্লিক করে যদি কোন পন্য ক্রয় করে তবে সেই ইউটিউবার একটি এফিলিয়েট কমিশন পেয়ে থাকে। এভাবেই ইউটিউবের মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়ে থাকে।
এখন জানাবো আপনিও কিভাবে ইউটিউবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। ইউটিউবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে ইউটিউবে একটি চ্যানেল বা একাউন্ট তৈরি করতে হবে। আমি জানি আপনি খুব সহজেই একটি ইউটিউব একাউন্ট করে নিতে পারবেন।
চ্যানেল তৈরি করা হয়ে গেলে আপনাকে মোটামুটি বেসিক লেভেলের ভিডিও এডিটিং জানতে হবে তাহলেই হবে। এখন পালা হচ্ছে আপনার ইউটিউব চ্যানেল বা একাউন্টকে ডে বাই ডে গ্রোআপ করা।
আপনার ইউটিউব একাউন্টে যদি দশ হাজার সাবসক্রাইবার হয়ে যায় এবং আপনার পাবলিশ করা ভিডিওতে যদি মোটামুটি তিন থেকে চার হাজার ভিউ হতে থাকে তাহলে আপনার ইউটিউব চ্যানেল এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন প্রস্তুত।
এখন আপনি যে মার্কেটপ্লেসের প্রডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান সে মার্কেটপ্লেস থেকে এমন একটি প্রডাক্ট সিলেক্ট যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনেন দরকার হয় এবং যে প্রোডাক্টের চাহিদা অনেক বেশি।
প্রডাক্ট সিলেক্ট করা হয়ে গেলে এখন সে প্রডাক্ট সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত জানতে হবে। যেমন সে প্রডাক্ট টি কোন কাজে ব্যবহার করা হয়, কিভাবে তা ব্যবহার করতে হয়, প্রডাক্ট টির গুনগুন মান কেমন,প্রোডাক্ট টির ভালো দিক এবং মন্দ দিক কোনগুলো সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে।
প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানা হলে এখন আপনাকে প্রোডাক্ট টি সম্পর্কে একটি রিভিউ ভিডিও তৈরি করতে হবে।
ভিডিওতে আপনি প্রোডাক্ট টি কি কাজে লাগবে এবং কেন প্রোডাক্ট টি কিনলে মানুষ উপকৃত হবে এবং প্রডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সুন্দর ভাবে গুছিয়ে ভিডিও তে তুলে ধরবেন।সবশেষে ভিডিও মোটামুটি একটি বেসিক লেভেলের এডিট করে পাবলিশ করে দিবেন।
যদি আপনার ভিডিও গুলোতে তিন থেকে পাঁচ হাজার ভিউ হয় এবং তার ১% মানুষও যদি আপনার দেওয়া এফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করে কোন পন্য ক্রয় করে তাহলে আপনি একটি রিভিউ ভিডিও থেকে ২০ থেকে ৩০ টি সেল পাবেন।
তাহলে ধরি আপনার প্রডাক্টের মূল্য ৩০০০ হাজার টাকা তা বিক্রি হলে আপনাকে ১০% কমিশন দেওয়া হবে। তাহলে ৩০ টি সেল থেকে আপনি একটি ভিডিওর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আট থেকে দশ হাজার টাকা ইনকাম জেনারেট করতে সক্ষম হবেন।
তবে সবচেয়ে বেশি ভালো হবে যদি আপনি নিজে যদি ইংরেজি কনটেন্ট বা ইংরেজি ভাষায় ভিডিও তৈরি করতে পারেন। ইংরেজি ভাষায় ভিডিও তৈরি করতে পারলে আপনি অনেক বেশি সেল করতে পারবেন।
তবে প্রথমে আপনি বাংলায় কনটেন্ট ক্রিয়েট করবেন তা থেকে আপনার ইউটিউবে ভিডিও মার্কেটিং করার উপর অভিজ্ঞতা তৈরি হবে। যখন আপনি বাংয়ায় কনটেন্ট তৈরিতে এক্সপার্ট হবেন তখন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কিভাবে ইংরেজিতে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
তাছাড়া মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত সব তথ্য আপনি জানতে পারবেন। আশা করছি কিভাবে ইউটিউবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরতে পেরেছি।
৪। ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন।
ইমেইল এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং অনেক কার্যকরী একটি উপায়। ইমেইল মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে একটু ধৈর্যধারনকারী হতে হবে। তবে ইমেইল মার্কেটিং এর শুরুতে আপনি রেজাল্ট না পেলেও এক থেকে দুমাস পর থেকেই আপনি ইমেইল মার্কেটিংয়ের ফলাফল দেখে অবাক হবেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং শুরু করতে হবে।
সর্বপ্রথমে ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে একটি ভেলিড ইমেইল একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে।
আমি আশা করছি আপনারা সকলেই একটি ইমেইল একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন। ইমেইল একাউন্ট তৈরি করা হয়ে গেলে আপনাকে এখন ইমেইল কালেক্ট করা শুরু করতে হবে।
এখন আপনার মাথায় একটি প্রশ্ন চলে এসেছে যে কভাবে ইমেই কালেক্ট করতে হয়। চিন্তিত হবার কিছু নেই, কিভাবে ইমেইল কালেক্ট করবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য গুলো তুলে ধরবো এই আর্টিকেলে।
যেমন ধরেন আপনি একটি টি শার্ট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন তাই আপনাকে যারা টি শার্ট নিয়ে আগ্রহী তাদের ইমেইল কালেক্ট করতে হবে। ইমেইল কালেক্ট করার জন্য আপনাদের ভিজিট করতে হবে গুগলে সেখানে সার্চ অপশনে টাইপ ” gmail.com” “giftcard” “USA” google.com এটা লিখে সার্চ করবেন।
আপনি টইপ করার সময় একটি কটেশন দিবেন তারপর gmail.com লিখে আবার কটেশন দিবেন, এরপর স্পেস দিয়ে আবার কটেশন দিবেন এখন কটেশনের পরে আপনি যেই প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করবেন তা লিখবেন।
এরপর আবার কটেশন দিবেন আবার স্পেস দিবেন দিয়ে আপনি যে দেশের ইমেইল কালেক্ট করতে চাচ্ছেন সে দেশের নাম দিবেন, দিয়ে কটেশন দিবেন এর পর google.com লিখে সার্চ করবেন।
এখন আপনার সামনে অনেক গুলো রেজাল্ট ওপেন হবে। কিন্তু তা থেকে আপনি কোনো ভাবেই ইমেইল কালেক্ট করতে পারবেন না তার জন্য একটি টুলসের সাহায্য নিতে হবে।
এখন আপনার ব্রাউজারের এরেকটি ট্যাপ ওপেন করবেন। সেখানে সার্চ করবেন eel.surf7.net.my লিখে সার্চ করলে একটি টুলস ওপেন হবে।
এখন ইমেইল কালেক্ট এর যে ট্যাপ ওপেন ছিল সে ট্যাপ থেকে পুরো পেজটি কপি করে নিবেন। কপি করে email extractor এই টিলসে এসে import window এর নিচে ফাকা ঘরে পেস্ট করে দিবেন। পেস্ট করে extract অপশনে ক্লিক করলে পাশে Output window এখানে ইমেইল গুলো extract হয়ে লিস্ট আকারে চলে আাসবে।
এই ইমেইল গুলো একটি নোট পেডে রাখবেন। তারপর আাবার পরবর্তী পেইজে যাবেন সেখানে আবার পুরো পেজটি কপি করে নিবেন এবং আবার টুলস দিয়ে extract করে নিবেন এভাবে বার বার করতে থাকবেন।
মোটামোটি ১৫০০/২০০০ হাজার ইমেইল কালেক্ট করা হয়ে গেলে এখন আপনাকে মার্কেটিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে।
ইমেইল তো কালেক্ট করে ফেললেন এখন আপনাকে মার্কেটিং শুরু করে দিতে হবে। মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনি যে এতো গুলো ইমেইল কালেক্ট করেছেন ইমেইলে কি লিখে তাদের সিন্ট করবেন তা জানতে হবে।
আপনাকে সুন্দর একটি টেমপ্লেট তৈরি করতে হবে সে টেমপ্লেটে আপনি যে প্রডাক্টটি মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত লিখতে হবে।
প্রডাক্টটির ভালো মন্দ কেন এই প্রডাক্ট টি মানুষ কিনবে এবং এই প্রোডাক্টের গুরুত্ব কি তা সম্পর্কে মানুষকে বুঝাতে হবে জানাতে হবে। তবে মনে রাখবেন আপনি শুরুতেই তাদের কাছে আপনার পন্যটি কিনার ওফার করবেন না তাতে তার আপনার সম্পর্কে একটি বেড ইমপ্রেশনস তৈরি হবে।
শুরুতে আপনি আপনার এফিলিয়েট প্রোডাক্টির গুরুত্ব ধীরে ধীরে তাদের কাছে তুলে ধরবেন। তাদেরকে আপনার প্রোডাক্টটি কেন কিনবে এবং এই প্রোডাক্টটির গুনগত মান, প্রোডাক্টির ভালো দিক গুলো তার কাছে ইমেইল করবেন।
১ দিনে আপনি তাদের কাছে ২ বার ইমেইল পাঠাবেন। মনে রাখবেন আপনি তাদের কাছে ২ থেকে ৩ দিন শুধু আপনার এফিলিয়েট প্রোডাক্টির গুরুত্ব সম্পর্কে জানাবেন।
যখন আপনি এইটা করতে থাকবেন তখন কাষ্টমারের চোখে আপনার একটি বিশ্বস্ততা তৈরি হবে। ৩ দিন পর যখন আপনি পন্যটি সেল করার উদ্দেশ্য ইমেইল করবেন তখন দেখবেন ম্যাজিক কি পরিমান সেল আপনি একটি ইমেইল মার্কেটিং করে জেনারেট করতে পারেন।
আমি শুরুতেই বলেছিলাম যে ইমেইল মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে অনেক ধৈর্যের অধীকারী হতে হবে।
আপনারা এডোবি লাইটরুম দিয়ে বা ক্যানভা দিয়ে খুব সহজেই একটি টেমপ্লেট তৈরি করে নিতে পারেন। এখন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে এক সাথে এতো গুলো ইমেইল পাঠাবো।
তার জন্য আপনাকে কয়েকটি ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে হবে। আপনি যদি ফ্রি ইমেইল পাঠাতে চান তাহলে এক সাথে ফ্রিতে আপনি ৩০০/৫০০ ইমেইল পাঠাতে পারবেন।
তবে কিভাবে ১৫০০/২০০০ ইমেইল পাঠাবেন। তার সমাধানও রয়েছে আপনি bulk email send করা যায় এমন ৫ টি ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলে নিবেন। তাহলে যদি ১৫০০ ইমেইল হয় তবে ৩০০ ইমেইল করে ৫ ওয়েবসাইট দিয়ে খুব সহজেই ইমেইল গুলো সিন্ট করতে পারবেন।
নিচে বালক ইমেইল সিন্ডিং কয়েকটি ওয়েবসাইট তুলে ধরা হলো।
* এক্টিভ কেমপেইন ( Active Campaign )
* এলাস্টিক ইমেইল ( Elastic Email )
* আমাজন সিস ( Amazon SES )
* সেন্ডিন ব্লু (SendinBlue)
* মেইলার লাইট (MailerLite)
* মেইলজিট ( Mailjet) ইত্যাদি।
আপনি এই বালক ইমেইল সিন্ডিং ওয়েবসাইট গুলো দিয়ে খুব সহজেই ইমেইল পাঠাতে পারবেন। আশা করছি কিভাবে ইমেইল মার্কেটিং করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন তা বুঝাতে পেরেছি। এবং আপনি এই পদ্ধতি যদি অনুসরণ করেন তাহলে অবশ্যই সফল হবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সবচেয়ে লাভজনক প্রোডাক্ট।
*এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে লাভজনক প্রোডাক্টের মধ্যে অন্যতম হলো কম্পিউটার বা ল্যাপটপ।
আপনি যে ওয়েবসাইট থেকেই এই এফিলিয়েট প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে কাজ করেন না কেন আপনি সেল করতে পারলে বড় অংকের একটি এফিলিয়েট কমিশন পেয়ে যাবেন।
যদি আপনি আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তাহলে দেখবেন যে একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের প্রাইজ শুরুই হয়ে থাকে ৪০০ থেকে ৫০০ ডলার দিয়ে।
ধরুন আপনি একটি একটি ৫০০ ডলারের ল্যাপটপ সেল করেছেন তার বিনিময়ে আমাজন আপনাকে ৪% কমিশন দিবেন। ৪ % এটি মোটেও কম নয়। যদি ৪ % কমিশন পান তবে তা দাড়ায় প্রায় ২০ ডলার। যা বাংলা টাকায় বর্তমানে ২০০০ টাকারও বেশি।
* এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোডাক্ট হচ্ছে স্মার্টফোন।
আপনি যদি বাংলাদেশে দারাজ বা বিডিশপ এর প্রোডাক্ট নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তাহলেও আপনাকে প্রতিটি সেলে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা প্রফিট থাকে।
আর আপনি যদি আমাজন বা আলীএক্সপ্রেস থেকে স্মার্টফোন নিয়ে সেল করতে পারেন তাহলে একটি বড় এমাউন্ট প্রফিট করতে পারবেন।
আমাজন বা আলীএক্সপ্রেসের একটি মোবাইল বা স্মার্টফোনের মূল্য ৩০০ থেকে ৪০০ ডলার দিয়ে শুরু হয়ে থাকে। আর দেখা যায় যে বাহিরের দেশের মানুষ বেশিরভাগই একটু বেশি প্রাইজ রেঞ্জের স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে।
তাই আপনি আমাজনের এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ৮০০ থেকে ১০০০ ডলারের যে প্রোডাক্ট গুলো রয়েছে তা নিয়ে মার্কেটিং করার চেষ্টা করবেন। স্মার্টফোনের ক্ষত্রেও আপনাকে ৪% এফিলিয়েট কমিশন পেয়ে যাবেন।
* এফিলিয়েট মার্কেটিং এর আরেকটি চাহিদা সম্পূর্ন প্রোডাক্ট হচ্ছে ডোমেইন এবং হোস্টিং।
ডোমেইন এবং হোস্টিং এমন একটি প্রডাক্ট যার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এবং এই প্রোডাক্টটির চাহিদা সামনে আরোও বেড়ে যাবে। কেননা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে তার প্রান ই হচ্ছে ডোমেইন এবং হোস্টিং।
তাই বর্তমান সময়ে ডোমেইন এবং হোস্টিং একটি লাভজনক পান্য। ডোমেইন এবং হোস্টিং সেলার কোম্পানি গুলোর মধ্যে –
* নেমচিপ (Namecheap)
*গোডডি (GoDaddy)
* ব্লুহোস্ট (BlueHost)
* হোস্টিংগার (Hostinger)
* কনট্রাবো (Contrabo) ইত্যাদি ।
তবে এই ডোমেইন এবং হোস্টিং কোম্পানি গুলো থেকে Namecheap ডোমেইন এবং হোস্টিং প্রভাইডার কোম্পানি একটি সেলের বিনিময়ে সবচেয়ে বেশি এফিলিয়েট কমিশন দিয়ে থাকে।
আপনি যদি একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং সেল করতে পারেন তা থেকে আপনাকে ৩০% এফিলিয়েট কমিশন দিয়ে থাকে Namecheap কোম্পানি। অন্য কোম্পানি গুলো ১৫ থেকে ২০% প্রতিটি সেলের জন্য কমিশন দিয়ে থাকে।
* এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের আরেকটি চাহিদা সম্পুর্ণ প্রোডাক্ট হলো ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট থিম।
আমরা যারা অনলাইনে ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করে থাকি তারা সকলেই জানি যে এখন বেশির ভাগ ওয়েবসাইট গুলোই ওয়ার্ডপ্রেসের উপর তৈরি করা হয়ে থাকে। আর ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে অবশ্যই একটি থিম দরকার পড়বে।
তবে ফ্রি থিম দিয়েও ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। তবে ফ্রি থিম দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করলে ওয়েবসাইট টি তেমন ভালো বা সুন্দর হয় না।
তাই বেশিরভাগ ওয়েবসাইটই প্রিমিয়াম থিম দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। তাই বর্তমানে প্রিমিয়াম থিমের চাহিদা অনেক বেশি। থিম নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো themeforest.net (থিম ফরেস্ট)।
থিমফরেস্টে প্রতিটি থিমের মূল্য ৩২ ডলার থেকে ৭২ ডলারের হয়ে থাকে। এখান থেকে আপনাকে একটি থিম সেল করার বিনিময়ে ৩০% কমিশন দেওয়া হবে। তাই বলা যায় এটি একটি জনপ্রিয় এবং লাভজনক এফিলিয়েট প্রোডাক্ট।
* এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের আরেকটি চাহিদা সম্পুর্ণ এবং জনপ্রিয় প্রোডাক্ট হচ্ছে বিউটি এবং হেল্থ কেয়ার (Beauty and Health Care)।
এটি আমাজনে সবচেয়ে বেশি বিক্রি প্রোডাক্ট। এই প্রোডাক্ট টির চাহিদা সকল দেশেই রয়েছে। তাই আপনি যদি এই প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে তার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস হচ্ছে আমাজন।
আমাজন থেকে আপনি যদি একটি প্রোডাক্ট সেল করে দিতে পারেন তাহলে আপনাকে এফিলিয়েট কমিশন অনুযায়ী পন্যটির বিক্রিত মূল্যে ৫% কমিশন দেওয়া হবে।
আর Beauty and Health Care প্রডাক্ট গুলো আমাজনে ১০ ডলার থেকে শুরু হয়। আমার সাজেশন থাকবে আপনি ৫০ ডলারের বেশি যে চাহিদা সম্পুর্ণ প্রোডাক্ট গুলো রয়েছে তা নিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন।
সবশেষে
আশা করছি এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবেন, কোন মার্কেট প্লেসে কাজ করবেন এবং কোন কোন মাধ্যমে এফিলিয়েট প্রোডাক্ট মার্কেটিং করবেন তা বিস্তারিত তুলে ধরতে পেরেছি। এবং কোন কোন প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং করবেন কোনটি লাভজনক প্রোডাক্ট তা তুলে ধরেছি।
এবং কোন মার্কেট প্লেস কোন লাভজনক প্রোডাক্টে জন্য বেশি এফিলিয়েট কমিশন দিয়ে থাকে তা তুলে ধরতে পেরেছি।
এই আর্টিকেলে উল্লেখ করা মার্কেটিং স্ট্রেটেজি অনুযায়ী যদি আপনি কাজ করেন তাহলে অবশ্যই আপনি সফল হবেন। দেখানো উপায় অনুযায়ী কাজ করুন এবং নিজের সাকসেস স্টরি নিজে গড়ুন।
আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।