শরীর ও স্বাস্থ্য

কাটা ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর নাম।

নানা কারনেই আমাদের শরীরের যেকোনো একটি অংশ কেটে যেতে পারে বা ক্ষত হতে হতে পারে। ছোট খাটো কাটা বা ক্ষত হলে তা কয়েক দিনের মধ্যে এমনিতেই শুকিয়ে যায়। কিন্তু শরীরে কাটা বা ক্ষত একটু গভীর হলে তা চিকিৎসা করা না হলে কাটা স্থানে মারাত্মক ইনফেকশন হতে পারে। তাই আমাদের শরীরের কোন একটি স্থানে কেটে গেলে বা ক্ষত তৈরি হলে তা নিরাময় করার জন্য কাটা ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করে থাকি। এই পোস্টে কাটা ঘা দ্রুত শুকানোর সবচেয়ে কার্যকরী ঔষুধ গুলো তুলে ধরবো । পুরো  পোস্ট টি  পড়বেন আশা করছি আপনাদের উপকারে আসবে।

 

কাটা ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর নাম।

 

কাটা ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর নাম।
কাটা ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর নাম।




অনেক সময় দেখা যায় পরে গিয়ে বা ছোট খাটো একটি এক্সিডেন্টে করে হাত পা বা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কেটে যায় এবং ক্ষত তৈরি হয়। তখন আমরা সেই ক্ষত স্থান বা কাটা স্থান ভালো করার জন্য ঔষধ সেবন করে থাকি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে কাটা স্থান বা ক্ষত স্থানটি গভীর হলে তখন সাধারন ট্যাবলেট বা ঔষধ তা নিরা ময় করতে পারে না।

তা নিরাময় করার জন্য ভালো এবং কার্যকরী এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করতে হয়। তাই কারো শরীরে গভীর ক্ষত তৈরি হলে তা নিরাময় করার জন্য ভালো কাটা ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ঔষধ এর নাম সম্পর্কে জানতে চান। এই পোস্টে কাটা ঘা বা ক্ষত শুকানোর সবচেয়ে কার্যকরী এন্টিবায়োটিকের নাম তুলে ধরেছি।

 

কাটা ঘা শুকানোর সবচেয়ে কার্যকরী এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলো হলোঃ

১। ফ্লু-ক্লক্সাসিলিন সোডিয়াম ভিপি-(Flucloxacillin Sodium BP)

২। ফ্লুক্লক্স ৫০০-(Fluclox 500)

৩। ফাইলোপেন ডিএস-(Phylopen DS)

৪। সিপ্রো-এ ৫০০-(Cipro-A 500)

৫। পেনটিডস ৪০০-(Pentids 400)

শরীরে যেকোনো কাটা ছেরা এবং গভীর ক্ষত খুব দ্রুত শুকাতে উল্লেখিত এন্টিবায়োটিক ঔষধ গুলো খুবই কার্যকরী। তাছাড়া এই ঔষধ আপনারা যেকোনো ফার্মেসিতেই পেয়ে যাবেন।

 

নিচে ঔষধ গুলোর মূল্য উল্লেখ করা হলো:

 

১। ফ্লু-ক্লক্সাসিলিন সোডিয়াম ভিপি-(Flucloxacillin Sodium BP): ফ্লুক্লক্সাসিলি সোডিয়াম ভিপি ট্যাবলেট টি কাটা ঘা শুকানো ছারাও অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তবে এটি কাটা ঘা শুকানো জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবং এটি কাটা ঘা এবং ক্ষত শুকাতে খুবই কার্যকরী হয়ে থাকে। এটির ১০ টি ট্যাবলেট অর্থাৎ ১ টি পাতার মূল্য ১১৫ টাকা।

২। ফ্লুক্লক্স ৫০০-(Fluclox 500): ফ্লক্লক্স এ ট্যাবলেট টি ও শরীরের কাটা ঘা এবং ক্ষত খুব দ্রুত শুকাতে ব্যবহার করা হয়। এটি পূর্ণ বয়স্করা দিনে ২/৩ বার সেবন করতে পারেন। ১০ বছরের কম বয়সীদের ১/২ বার ব্যবহার করতে পারেন। এটির ১০ টি ট্যাবলেট অর্থাৎ ১ টি পাতার মূল্য ১০০ টাকা।

৩। ফাইলোপেন ডিএস-(Phylopen DS): এই ট্যাবলেট টি ও আমাদের শরীরের কাটা স্থান বা ক্ষত শুকাতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি পূর্ণ বয়স্কদের এক দিনে ২ বার সকালে ও রাতে সেবন করতে হবে। ১০ বছরের কম বয়সী হলে এক দিনে ১ বার ব্যবহার করা উচিত। তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে একের অধিক ব্যবহার করতে পারেন। এটির ১০ টি ট্যাবলেট অর্থাৎ ১ টি পাতার মূল্য ৯০ টাকা।

৪। সিপ্রো-এ ৫০০-(Cipro-A 500): এটি শরীরের কাটা ঘা শুকানোর পাশাপাশি শরীরের আরও অনেক গুলো ইনফেকশনে ব্যবহার করা হয়।এটি এক দিনে দু’বার সেবন করতে পারেন। এটির ১০ টি ট্যাবলেট অর্থাৎ ১ টি পাতার মূল্য ১৪০ টাকা।

৫। পেনটিডস ৪০০-(Pentids 400): পেনডিটস ৪০০ শরীরের ক্ষত এবং কাটা ঘা শুকানোর জন্য অত্যান্ত কার্যকরী একটি ঔষধ। তার পাশাপাশি এটি বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া দমন করতেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি এক দিনে দুবার সকালে ও রাতে ব্যবহার করতে পারেন। তবে শিশুদের সেবন করাতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এটির ১০ টি ট্যাবলেট অর্থাৎ ১ টি পাতার মূল্য ২০ টাকা।

এই ঔষধ গুলোর মূল্য স্থান বেধে ভিন্ন হতে পারে।  এই  ঔষধ  গুলো  সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তার পর সেবন করবেন। কেননা এই ঔষধ গুলোর বিভিন্ন সাইড এফেক্টও রয়েছে।

 

কাটা ঘা শুকানোর পাউডার এর নাম।

 

কাটা ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক
কাটা ঘা শুকানোর পাউডার এর নাম।

শরীরের কোথাও কাটা ঘা বা ক্ষত তৈরি হলে তা নিরাময়ের জন্য কাটা ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ঔষধ ব্যবহার করে থাকি । বেশিরভাগ সময় দেখা  যায় যে  পরে গিয়ে  আমাদের শরীরের কোনো অংশ  ছিলে  যায় বা  হালকা  কেটে যায়  এক্ষেত্রে এটি  স্বাভাবিক  ভাবেই  সেরে  যায়।

তবে শরীরে কোন গভীর ক্ষত তৈরি হলে তা স্বাভাবিক ভাবে সেরে যায় না। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাটা বা ক্ষত স্থাণের চিকিৎসা না করা হলে এ থেকে মারাত্মক ইনফেকশন তৈরি হতে পারে। তাই কাটা ঘা দ্রুত শুকানোর জন্য আমরা বিভিন্ন এন্টিবায়োটিকের সাথে কাটা ঘা শুকানোর পাউডার ব্যবহার করতে পারি।

নিচে কাটা ঘা শুকানোর অত্যন্ত কার্যকরী দু’টি পাউডারের নাম ও তার ব্যবহার বিধি উল্লেখ করা হলো:

★ নেবানল -(Nebanol)

★ নিউসপরিন-(Neosporin)

অনেকেই আছেন যারা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে কোনো গুরুতর রোগ না হলে এন্টিবায়োটিক সেবন করতে চান না। তাই শরীরের গভীর ক্ষত হলে যারা এন্টিবায়োটিক নিতে না চান তারা এই নেবানল এবং নিউসপরিন পাউডারটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে নেবানল পাউডারটি কাটা ঘা এবং ক্ষত শুকাতে খুবই কার্যকরী হয়ে থাকে। এটি দৈনিক দুবার ব্যবহার করতে হবে। সকালে এবং রাতে পরিমান মতো যে জায়গাটিতে ক্ষত হয়েছে সেখানে ব্যবহার করতে হবে।

তবে যেকোনো পাউডার ব্যবহার করার আগে বায়োডিন (Viodin) নামক একটি ঔষধ রয়েছে যা দিয়ে ক্ষত স্থানটি ভালো ভাবে পরিষ্কার করে পাউডার ব্যবহার করা উত্তম। একটি নেবানল পাউডারের কৌটার মূল্য ২০ টাকা।একটি নিউসপরিন পাউডারের কৌটার মূল্য ৭০ টাকা। এই পাউডার দু’টি আপনারা যেকোনো ফার্মেসিতেই পেয়ে যাবেন।

 

কাটা জায়গা শুকানোর মলম এর নাম।

 

কাটা ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক
কাটা জায়গা শুকানোর মলম এর নাম।

কাটা ঘা শুকানোর জন্য বিভিন্ন মলম রয়েছে যা খুবই কার্যকরী হয়ে থাকে। আমরা সাধারণত কোন জায়গায় পরে গিয়ে বা এক্সিডেন্ট করে এবং শরীরের কোন জায়গায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে শরীর ছিলে যায় তাহলে অনেকেই না জেনে তা নিরাময় করতে কাটা ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করতে চায়।

এক্ষেত্রে আপনার ক্ষত যদি গভীর হয় যেমন কোথাও কেটে গেছে সেখানে সিলাই করা হয়েছে এমন হলে আপনি এন্টিবায়োটিক গ্রহন করতে পারেন। তবে এন্টিবায়োটিক গ্রহনের সময় ডাক্তার যে পরিমান এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কোর্স দিয়ে থাকেন তা অনেকেই সম্পূর্ণ করেনা। যার ফলে ক্ষত জায়গা ভালো হওয়ার বিপরীতে উল্টো ইনফেকশন হয়ে যায়।

এবং পরবর্তীতে তা নিরাময় করতে আবার এন্টিবায়োটিক গ্রহন করলে তা আর কাজ করে না। তাই একান্তই যদি এন্টিবায়োটিক গ্রহন করতে হয় তাহলে ডাক্তারের দেওয়া কোর্ট অবশ্যই সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করার আগে অন্য পদ্ধতিতে ক্ষত বা কাটা স্থান নিরাময় করার চেষ্টা করতে হবে। এন্টিবায়োটিক ছাড়া কাটা ঘা শুকানোর অন্য পদ্ধতি গুলোর মধ্যে অন্যতম হলে মলম। মলম কাটা ঘা বা ক্ষত শুকাতে খুবই কার্যকরী।

 

নিচে কাটা ঘা শুকানোর সবচেয়ে কার্যকরী ৫ টি মলমের নাম উল্লেখ করা হলো :

১। বেক্ট্রোসিন-(Bactrocin)

2। বায়োডিন-(Viodin)

৩। নেবানল-(Nebanol)

৪। ট্রেগো-(Trego)

৫। পভিসেপ-(Povisep)

উল্লেখিত মলম গুলো কাটা ঘা এবং শরীরের যেকোনো কাটা ঘা শুকাতে খুবই কার্যকরী।

 

নিচে উল্লেখিত মলম গুলোর মূল্য উল্লেখ করা হলো :

১। বেক্ট্রোসিন-(Bactrocin): একটি Bactrocin মলমের মূল্য ১৪০ টাকা। এটি ব্যবহারে ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ক্ষত স্থানটি সেরে যাবে।

2। বায়োডিন-(Viodin): একটি Viodin মলমের মূল্য ৫০ টাকা। এটি ব্যবারে কোন ভাবেই নাকে মুখে এবং চোখে লাগানো যাবে না। এটি ৬ থেকে ৭ দিন ব্যবহারে ক্ষত স্থানটি সেরে যে থাকবে।

৩। নেবানল-(Nebanol): একটি Nebanol মলমের মূল্য ৪৫ টাকা। এটি মোটামুটি ১০/১৫ দিন ব্যবহার করলে ক্ষত স্থান সেরে যাবে।

৪। ট্রেগো-(Trego): একটি Tegro মলমের মূল্য ১৩০ টাকা। এটি কাটা ছেরা শুকাতে খুবই কার্যকরী হয়ে থাকে। এটি ৬/৭ দিন ব্যবহারে এর ফলাফল দেখতে পারবেন।

৫। পভিসেপ-(Povisep): একটি Povisep মলমের মূল্য ৪৫ টাকা। এটি শরীরের কোন জায়গায় আঘাত প্রাপ্ত হলে সাথে সাথে ব্যবহার করলে কার্যকরী ফলাফল দেখা যায়। এটিও ৬/৭ দিন ব্যবহারে কার্যকরীতা দেখতে পাওয়া যায়।

 

কাটা ঘা শুকানোর ঘরোয়া উপায় কি ?

 

কাটা ঘা শুকানোর ঘরোয়া উপায় কি ?

আমাদের শরীরের কোন স্থান কেটে গেলে বা ক্ষত তৈরি হলে প্রথমেই কাটা ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করে থাকি। তবে গভীর কোন ইনজুরি না হলে এন্টিবায়োটিক ঔষধ গ্রহন করা উচিত নয়। তাছাড়া এন্টিবায়োটিক গ্রহনের ফলে অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়ে থাকে। তাই শরীরের কোথাও কেটে গেলে তা সর্বপ্রথমে ঘরোয়া উপায়ে সারানোর চেষ্টা করা উচিত। নিচের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করে ঘরোয়া উপায়ে খুব সহজেই কাটা ঘা এবং ক্ষত নিরাময় করতে পারবেন।

খুতখুসি বা ভৃঙ্গরাজ গাছ: যদি আপনার শরীরে কোথাও গভীর ক্ষত বা কেটে যায় এবং তা সারানের জন্য বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক, মলম ও পাউডার ব্যবহার করার পরেও সেরে না যায় তাহলে এ গাছ রস ব্যবহার করতে পারেন। এই গাছের রসের কার্যকারীতা দেখলে আপনি অবাক হবেন। এটি শরীর পোড়ে তা গেলে পোড়া স্থানে ব্যবহার করলে ২/৩ দিনের মধ্যে সে জায়গার ক্ষত সেরে যাবে।

গাঁদাফুল গাছের পাতা: বিভিন্ন ধরনের ছোট খাটো কাটা ছেরা হলে প্রথমেই কোন ঔষধ সেবন করার দরকার নেই। যদি শরীরের কোন অংশ কেটে যায় তাহলে গাঁদাফুল গাছের পাতার রস সেখানে লাগিয়ে দিবেন। এই গাঁদাফুল গাছের রস শরীরের কাটা স্থানে লাগালে তা এনৃটিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। তাই আপনারা গাঁদাফুল গাছের পাতার রস ব্যবহার করে কাটা স্থান ক্ষত খুব সহজেই নিরাময় করতে পারেন।

টমেটো: টমেটো সেবন করার মাধ্যমে শরীরের কাটা স্থান দ্রুত শুকানো যায়। কেননা টমেটোতে রয়েছে লাইকোপিন এন্টি অক্সিডেন্ট। এন্টি অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কোষ গুলোকে পুনরায় দ্রুত গঠন করতে সাহায্য করে এবং কাটা স্থানে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। তাই কাটা ঘা দ্রুত শুকাতে টমেটোর সস বা টমেটো সালাদ হিসেবে গ্রহন করতে পারেন। এটি কাটা ঘা দ্রুত শুকানোর অত্যান্ত কার্যকরী একটি পদ্ধতি।

মধু: মধু আমাদের শরীরের অনেক উপকারে আসে মধুর দুই শত এর বেশি গুনগুন রয়েছে। মধু আমাদের শরীরের কাটা ঘা এবং ক্ষত নিরাময় করতে সাহায্য করে থাকে। কোথাও কেটে গেলে সে জায়গায় মধু ব্যবহার করতে পারেন। এবং কেটে যাওয়ার পর প্রতিদিন ২ থেকে ৩ চামচ মধু সেবন করতে পারেন। এতে করে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে কাটা স্থান বা ক্ষত স্থান দ্রুত সময়ে শুকিয়ে যাবে।

শরীরের কোথাও কেটে গেলে উপরে উল্লেখিত ঘরোয়া উপায় গুলো অবলম্বন করতে পারেন। এগুলো কাটা ঘা শুকানোর জন্য অত্যান্ত কার্যকরী এবং পরীক্ষিত ঔষধ।

 

কাটা ঘা না শুকানোর কারণ কি ?

 

কাটা ঘা না শুকানোর কারণ কি ?

আমরা সকলেই জানি যে বিভিন্ন এক্সিডেন্ট বা পরে গিয়ে আমাদের শরীরে ছোট খাটো বা গভীর ক্ষত এবং কাটা ছেরা হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় যে ছোট খাটো কাটা ছেরা গুলো কোন প্রকার ঔষধ ছাড়াই নিরাময় হয়ে যায়। আবার গভীর ক্ষত হলে তা নিরাময় করার জন্য এন্টিবায়োটিক গ্রহন করতে হয়। তবে শরীরে কোথাও কেটে গেলে বা ক্ষত হলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এটি এন্টিবায়োটিক বা কোন ঔষধ সেবনের ফলেও ভালো হয় না।

তা ভালো না হওয়ার বেশ কয়েকটি কারন থাকতে পারে তার মধ্যে অনতম হলো কেটে যাওয়ার পর টক জাতীয় খাবার খাওয়া। শরীরের কোথাও কেটে গেলে বা ক্ষত তৈরি হলে তা নিরাময় করার জন্য আমরা যদি ঔষধ সেবন করি এবং ঔষধ সেবনের মধ্যেও কোনো প্রকার টক জাতীয় খাবার গ্রহন করি সেক্ষেত্রে ক্ষত স্থানে ইনফেকশন হতে পারে।

এবং ক্ষত স্থানটি নিরাময় হতে দীর্ঘ সময় নিতে পারে। তাই শরীরে কোথাও কেটে গেলে তা নিরাময় না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রকার টক জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত নয়। তাছাড়া কোন মানুষের শরীরে যদি ডায়েবিটিস থেকে থাকে তবে কাটা স্থান শুকাতো অনেক দীর্ঘ সময় নিতে পারে। তবে একজন ডায়েবিটিস রোগীর গভীর কোন ইনজুরি না হলে তা নিরাময় হতে ১০/১৫ দিন সময় লাগতে পারে।

 

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ ।

পোস্ট টি আপনাদের উপকারে আসলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

 

ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *