শরীর ও স্বাস্থ্য

গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা হওয়ার কারন কি ?

বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে গ্যাস্ট্রিক এসিডিটি এই সমস্যা গুলো দিন দিন বেড়েই চলেছে। গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটি হয়ে থাকে মূলত খাবার নিয়ম না মেনে খাওয়ার জন্য। প্রথমত গ্যাস্ট্রিক হলে আমাদের বুকে ব্যাথা করে এবং এভাবে ধীরে ধীরে গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা হতে শুরু করে। এই পোস্টে গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা হওয়ার কারন ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। পুরো পোস্ট টি পড়বেন আশা করছি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।

 

গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা হওয়ার কারন

 

গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা
গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা হওয়ার কারন

অধিক পরিমানে এসিড জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে দেহে এসিডের পরিমান বেড়ে যায় এবং এ থেকে তৈরি হয় গ্যাস্ট্রিক। তাছাড়া ও অধিক মশলা জাতীয় খাবার, অধিক ঝাল যুক্ত খাবার এবং এলকোহল জাতীয় ড্রিংকস সেবন করার কারনেও গ্যাস্ট্রিক হয়ে থাকে। এবং এ থেকেই শুরু হয়ে থাকে আমাদের বুকে ব্যাথা।

এ বুকে ব্যাথা দীর্ঘমেয়াদি হওয়ার কারনে তা থেকে ধীরে ধীরে গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা হতে শুরু করে। তবে গ্যাস্ট্রিকের কারনে বুকে ব্যাথা হলেও গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা হওয়া খুব একটা দেখা যায় না। গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা হওয়ার কারন হলো গ্যাস্ট্রিক  এর  কারনে  বুকে তীব্র ব্যাথা হলে তা থেকে পিঠে  ব্যাথা  হতে  শুরু করে । তবে  পিঠে নানা কারনে ব্যাথা হতে পারে।

গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা হলে তা নিরাময় করার জন্য আমরা গ্যাস্ট্রিকের কিছু ঔষধ সেবন করতে পারি বা ব্যায়াম করতে পারি। তবে গ্যাস্ট্রিকের কারনে বুকে এবং পিঠে ব্যাথা হলে তা নিরাময় করার জন্য প্রথমেই ঔষধ সেবন করা ঠিক নয়। গ্যাস্ট্রিকের কারনে ব্যাথা হলে ব্যায়াম করার মাধ্যমে তা নিরাময় করার চেষ্টা করতে হবে। তবে ব্যায়াম ছাড়াও বেশ কিছু প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বুক এবং পিঠ থেকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা দূর করতে পারেন।

 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় কি ?

 

গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা
ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় কি ?

বিভিন্ন কারনেই আমাদের শরীরে গ্যাস্ট্রিক হয়ে থাকে । গ্যাস্ট্রিক হলে আমাদের বুকে জ্বালা পোড়া, বদ হজম হওয়া, বুকে ব্যাথা এবং গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা হওয়া শুরু হয়। তাই আমরা গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথা নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন ঔষধ সেবন করে থাকি। তবে গ্যাস্ট্রিক হলে প্রথমেই ঔষধ সেবন করার আগে প্রাকৃতিক উপায়ে তা নিরাময় করার চেষ্টা করতে হবে। প্রাকৃতিক ভাবে গ্যাস্ট্রিক এর ব্যাথা নিরাময় করার জন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

 

নিচে ঘরোয়া পদ্ধতিতে গ্যাস্ট্রিক দূর করার কয়েকটি উপায় উল্লেখ করা হলো:

 

১। এলাচ ব্যবহার করে:

এলাচ ব্যবহার করে খুব সহজেই প্রকৃতিক উপায়ে গ্যাস্ট্রিক দূর করা যায়। গ্যাস্ট্রিকের কারনে আমাদের বুকে যখন তীব্র ব্যাথা শুরু হয় হয় তখন এলাজ ব্যবহার করলে তা গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা অনেকটাই কমানো যায়। গ্যাস্ট্রিক হলে এলাচ গুড়ো করে খেতে হয়।

২। আদা ব্যবহার করে:

গ্যাস্ট্রিক দূর করতে ঘরোয়া পদ্ধতি গুলোর মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী পদ্ধতি হলো আদা সেবন করা। আদা ব্যবহারে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্যাস্ট্রিক এবং গ্যাস্ট্রিকের কারনে বুকে ব্যাথা এবং পিঠে ব্যাথা দূর করতে পারেন। আদা টুকরো টুকরো করে কেটে তা লবন দিয়ে খেতে পারেন।

৩। ঠান্ডা দুধ ব্যবহার করে:

ঠান্ডা দুধ সেবনের মাধ্যমে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক দূর করা যায়। গ্যাস্ট্রিক হলে ঠান্ডা দুধ সেবন করলে এটি আমাদের পাকস্থলীর এসিডকে নিয়ন্ত্রণে রাখে যার ফলে এটি আপনাকে তাৎক্ষণিক এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। গ্যাস্ট্রিক হলে এবং এ থেকে তীব্র ব্যাথা হলে এক গ্লাস ঠান্ডা দূধ পান করলে এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক দূর হয়ে যাবে।

৪। দই ব্যবহার করে:

গ্যাস্ট্রিক দূর করতে দই খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আমরা কম বেশি সকলেই জানি যে দই আমাদের পাকস্থলীর হজম শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি করে দেয়। দই সেবন করলে পাকস্থলীতে জমে থাকা খাবার দ্রুত হজম হতে শুরু করে এবং পেটের গ্যাস দূর করে থাকে। তাই গ্যাস্ট্রিক হলে সাথে সাথে এক কাপ দই খেতে পারেন এতে গ্যাস্ট্রিক দূর হয়ে যাবে।

৫। শসা ব্যবহার করে:

আমরা সকেলই জানি যে শসা খেলে এটি আমাদের বুক এবং পেটকে ঠান্ডা রাখে এবং পেটের ভিতরে থাকে ক্ষতিকারক গ্যাস বের করে দেয়। শসাতে প্রচুর পরিমানে ফ্লেভানয়েড এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে এটি আমাদের পেটের গ্যাস কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই গ্যাস্ট্রিক হলে শসা টুকরো টুকরো করে কেটে খেতে পারেন।

৬। দারুচিনি ব্যবহার করে:

দারুচিনি ব্যবহার করে খুব সহজে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক দূর করা যায়। দারুচিনি গ্যাস্ট্রিকের কারনে বুকে এবং পিঠে সহ তাৎক্ষণিক গ্যাস্ট্রিক দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। গ্যাস্ট্রিক হলে গরম পানিতে দারুচিনি ফুটিয়ে ছেকে পান করুন কিংবা গরম দুধ এবং কফির সাথে মিশিয়ে পান করতে পারেন। দারুচিনি গ্যাস্ট্রিক দূর করতে অনেক কার্যকরী।

৭। বেকিং সোডা ব্যবহার করে:

বেকিং সোডার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এসিডিক উপাদান যা আমাদের পাকস্থলীর গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই পরিমান মতো বেকিং সোডা সেবনে খুব সহজেই ঘরোয়া এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক দূর করা যায়। এক গ্লাস পানির মধ্যে ২ চা চামচ বেকিং সোডা দিয়ে তা মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর পান করুন এটি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকরী ফলাফল দিয়ে থাকে।

৮। রসুন ব্যবহার করে:

রসুন আমাদেরকে তাৎক্ষণিক ভাবে এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি দিতে পারে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে আমাদের পাকস্থলীতে স্টমাকে অ্যাসিড ক্ষরণের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায় যার ফলে গ্যাসট্রিক হয়ে থাকে। তাই গ্যাস্ট্রিক হলে এক কোয়া রসুন সেবন করলে পাকস্থলীতে স্টমাকে অ্যাসিড ক্ষরণের মাত্রা স্বাভাবিক হয়ে যায় এবং গ্যাস্ট্রিক খুব দ্রুত সময়ে দূর হয়ে যায়।

৯। ডাবের পানি ব্যবহার করে:

ডাবের পানি আমাদের দেহের জন্য বেশ উপকারী। ডাবের পানি আমাদের পাকস্থলীর হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। নিয়মিত ডাবের পানি পান করার ফলে আমাদের পাকস্থলী যেকোনো ধরনের খাবার খুব দ্রুত হজম করতে সক্ষম হয়। তাই গ্যাস্ট্রিক হলে ডাবের পানি পান করতে পারেন কিংবা যাদের প্রায় সময়ই গ্যাস্ট্রিক হয়ে থাকে তারা নিয়মিত ডাবের পানি পান করতে পারেন।

১০। পেঁপে ব্যবহার করে:

পেঁপে আমাদের এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি দিতে খুব কার্যকরী হয়ে থাকে। পেঁপের মধ্যে বেশ কয়েকটি এনজাইম পাওয়া যায় এর মধ্যে পাপায়া নামের একটি এনজাইম রয়েছে যা আমাদের পাকস্থলীর হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। যাদের প্রায় সময়ই গ্যাসের সমস্যা দেখা যায় তারা প্রতিদিন পরিমান মতো পেঁপে খেতে পারেন। তাছাড়া বুকে বা পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে পেঁপে খেতে পারেন।

যাদের গ্যাস্ট্রিকের কারনে বুকে এবং পিঠে তীব্র ব্যাথা হয় তারা উল্লেখিত পদ্ধতি গুলোর একটি অবলম্বন করতে পারেন। এতে করে গ্যাস্ট্রিকের যেকোনো সমস্যা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দূর হয়ে যাবে।

 

গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঔষধ এর নাম এবং দাম।

 

গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা
গ্যাস্ট্রিক দূর করার ঔষধ এর নাম এবং দাম।

অনেক সময় দেখা যায় গ্যাস্ট্রিক হলে তা প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায়ে বিভিন্ন পদ্ধতি এবং ঔষধ সেবন করেও দূর করা যায় না। গ্যাস্ট্রিক হলে ঘরোয়া চিকিৎসা কার্যকরী না হলে আমদের এলোপ্যাথিক বা হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করতে হয়। তাই আমরা সবচেয়ে কার্যকরী গ্যাস্ট্রিক নিরাময়ের ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাই। তাই দেরি না করে চলুন গ্যাস্ট্রিকের সবচেয়ে কার্যকরী ঔষুধ এর নাম জেনে নেওয়া যাক।

 

নিচে গ্যাস্ট্রিকের কয়েকটি কার্যকরী ঔষুধের নাম এবং দাম উল্লেখ করা হলো:

১। সেকলো ২০-(Seklo 20)

২। সারজেল ২০-(Sergel 20)

৩। লোসেকটিল-(Losectil)

৪। ম্যাক্সপ্রো ২০-(Maxpro 20)

৫। ফিনিক্স ২০-(Finix 20)

৬। অপটন ২০-(Opton 20)

৭। এসিফিক্স ২০-(Acifix 20)

৮। ইসোরাল ২০-(Esoral 20)

৯। প্রোগাট ২০-(Progut 20)

১০। প্যারিসেল ২০-(Paricel 20)

১১। ইসোটিড ২০-(Esotid 20)

১২। পিপিআই ২০-(PPI 20)

১৩। ম্যাক্সিমা ২০-(Maxima 20)

১৪। নেক্সাম ২০-(Nexum 20)

১৫। জেলড্রিন ২০-(Xeldrin 20)

১৬। ডিক্স লান ৩০-(Dexlan 30)

১৭। জোরেল ২০-(Xorel 20)

১৮। রেব ২০-(Rabe 20)

১৯। এক্সিয়াম ২০-(Exium 20)

২০। প্যানটোনিক্স ২০-( Pantonix 20)

২১। প্যানটোবেক্স ২০-(Pantovex 20)

২২। অথেরা ২০-(Othera 20)

২৩। জো-মাপস ২০-(Zo-Mups 20)

২৪। রেমো ২০-(Remmo 20)

২৫। ফ্যামোট্যাক ২০-(Famotack 20)

উল্লেখিত ঔষধ গুলো গ্যাস্ট্রিকের জন্য বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রচলিত এবং কার্যকরী ঔষুধ। এই ট্যাবলেট গুলো গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা এবং বুকে ব্যাথা দ্রুত দূর করে থাকে। আপনারা গ্যাস্ট্রিক হলে যেকোনো একটি সেবন করতে পারেন। আশা করছি খুব দ্রুত ফলাফল দেখতে পাবেন।

 

নিচে উল্লেখিত ঔষধ গুলোর মূল্য উল্লেখ করা হলো :

১। সেকলো ২০-(Seklo 20): একটি সেকলো ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৬ টাকা।

২। সারজেল ২০-(Sergel 20): একটি সারজেল ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৭ টাকা।

৩। লোসেকটিল-(Losectil): একটি লোসেকটিল ট্যাবলেট এর মূল্য ১০ টাকা।

৪। ম্যাক্সপ্রো ২০-(Maxpro 20): একটি ম্যাক্সপ্রো ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৭ টাকা।

৫। ফিনিক্স ২০-(Finix 20): একটি ফিনিক্স ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৭ টাকা।

৬। অপটন ২০-(Opton 20): একটি অপটন ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৫ টাকা।

৭। এসিফিক্স ২০-(Acifix 20): একটি এসিফিক্স ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৮ টাকা।

৮। ইসোরাল ২০-(Esoral 20): একটি ইসোরাল ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৬ টাকা।

৯। প্রোগাট ২০-(Progut 20): একটি প্রোগাট ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৮ টাকা।

১০। প্যারিসেল ২০-(Paricel 20): একটি প্যারিসেল ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৬ টাকা।

১১। ইসোটিড ২০-(Esotid 20): একটি ইসোটিড ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৭ টাকা।

১২। পিপিআই ২০-(PPI 20): একটি পিপিআই ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৫ টাকা।

১৩। ম্যাক্সিমা ২০-(Maxima 20): একটি ম্যাক্সিমা ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৭ টাকা।

১৪। নেক্সাম ২০-(Nexum 20): একটি নেক্সাম ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৭ টাকা।

১৫। জেলড্রিন ২০-(Xeldrin 20): একটি জেলড্রিন ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৫ টাকা।

১৬। ডিক্সলান ৩০-(Dexlan 30): একটি ডিক্সলান ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ১০ টাকা।

১৭। জোরেল ২০-(Xorel 20): একটি জোরেল ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৩ টাকা।

১৮। রেব ২০-(Rabe 20): একটি রেব ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৭ টাকা।

১৯। এক্সিয়াম ২০-(Exium 20): একটি এক্সিয়াম ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৯ টাকা।

২০। প্যানটোনিক্স ২০-( Pantonix 20): একটি প্যানটোনিক্স ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৫ টাকা।

২১। প্যানটোবেক্স ২০-(Pantovex 20): একটি প্যানটোবেক্স ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ৫ টাকা।

২২। অথেরা ২০-(Othera 20): একটি অথেরা ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ১০ টাকা।

২৩। জো-মাপস ২০-(Zo-Mups 20): একটি জো-মাপস ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ১০ টাকা।

২৪। রেমো ২০-(Remmo 20): একটি রেমো ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর মূল্য ১০ টাকা।

২৫। ফ্যামোট্যাক ২০-(Famotack 20): একটি ফ্যামোট্যাক ২০ মিলিগ্রাম ট্যাবলেট এর  মূল্য ২ টাকা।

ঔষধ গুলোর মূল্য স্থান বেধে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।

 

গ্যাস্ট্রিকের সিরাপের নামের তালিকা।

 

গ্যাস্ট্রিকের সিরাপের নামের তালিকা।

বর্তমানে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেক কমন একটা রোগ। যার কারনে গ্যাস্ট্রিক হলে মনুষ এখন আর ডাক্তারের কাছে যান না। গ্যাস্ট্রিকের বিভিন্ন ভালো ঔষধের নাম জেনে তার কাছের কোন একটি ফার্মেসি থেকে কিনে সেবন করে থাকেন। গ্যাস্ট্রিক হয়ে থাকে মূলত আমাদের কিছু বদভ্যাসের কারনে এবং এটি কিছু কিছু সময় শরীরে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এটি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের কিছু ঔষধ সম্পর্কে জানা জরুরী।

 

নিচে গ্যাস্ট্রিকের সবচেয়ে কার্যকরী কয়েকটি সিরাপের নাম উল্লেখ করা হলো :

১। এ্যান্টানিল প্লাস-(Antanil plus)

২। গ্যাভিসল-(Gavisol)

৩। প্রোগ্যাভি-( Progavi)

৪। গ্যাসট্রোকন ডিএ-(Gastrocon Da)

৫। ফ্যামোট্যাক-(Famotack)

উল্লেখিত পাঁচটি সিরাপ গ্যাস্ট্রিকের ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। গ্যাস্ট্রিকের সময় এই সিরাপ গুলোর যেকোনো একটি সেবন করলে গ্যাস্ট্রিক, গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা এবং বুকে ব্যাথা দূর হয়ে যাবে।

 

নিচে সিরাপ গুলো ব্যবহার এবং মূল্য উল্লেখ করা হলো:

 

এ্যান্টানিল প্লাস-(Antanil plus):

এই সিরাপটি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এবং পাকস্থলীতে গ্যাস জমা হলে তা দূর করতে খুবই কার্যকরী। তাছাড়া অতিরিক্ত এসিডিটির কারনে অনেক বেশি পেটে ব্যাথা হলে এই সিরাপটি সেবন করে পারেন। এই সিরাপটি দিনে দু বার অথবা গ্যাস্ট্রিক পেটে ব্যাথার সময় ২ চা চামচ সেবন করতে হবে। একটি একটি এ্যান্টানিল প্লাস সিরাপের মূল্য ৭৫ টাকা।

গ্যাভিসল-(Gavisol):

গ্যাভিসল সিরাপটি গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির জন্য সবচেয়ে কার্যকরী একটি সিরাপ। এই সিরাপটি ১২ বছরের অধিক বয়সীদের ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক হলে দিনে দু বার ৩ চা চামচ করে এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে দিনে দু বার ২ চা চামচ করে সেবন করাতে হবে। একটি একটি গ্যাভিসল সিরাপের মূল্য ২৫০ টাকা।

প্রোগ্যাভি-( Progavi):

প্রোগ্যাভি সিরাপটি গ্যাস্ট্রিক, বুক জ্বালাপোড়া, গ্যাস্ট্রিক থেকে পিঠে ব্যাথা ইত্যাদি সমস্যা গুলো দূর করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এই সিরাপটি সেবনের ফলে পাকস্থলী ঠান্ডা হয়ে যায় যার ফলে গ্যাস্ট্রিকের জন্য বুকে ব্যাথা দূর হয়ে যায়। এই সিরাপটি গ্যাস্ট্রিক হলে ২ চা চামচ সেবন করতে হবে। একটি একটি প্রোগ্যাভি সিরাপের মূল্য ২৫০ টাকা।

গ্যাসট্রোকন ডিএ-(Gastrocon Da):

গ্যাস্ট্রিক হলে গ্যাসট্রোকন ডিএ এই সিরাপটি সেবন করলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে ই ফলাফল দেখতে পাবেন। তাছাড়া যাদের বুক জ্বালাপোড়া পেট ফুলে যায় তারা এই সিরাপটি সেবন করলে মাত্র ১ মিনিটে সব সমস্যা চলে যাবে। এটি গ্যাস্ট্রিক, বুকে জ্বালাপোড়া এবং পেট ফুলে গেলে তখন ২ চ চামচ খেতে হবে। একটি একটি গ্যাসট্রোকন ডিএ সিরাপের মূল্য ২৫০ টাকা।

ফ্যামোট্যাক-(Famotack):

এই সিরাপটি বাচ্চাদের গ্যাস্ট্রিকের জন্য পেটে ব্যাথা এবং গ্যাস্ট্রিক থেকে আলসার হলে তা নিরাময় করতে ফ্যামোট্যাক সিরাপটি খুবই কার্যকরী। এই সিরাপটি বাচ্চাদের দিনে ২ বেলা দেড় চা চামচ সেবন করাতে পারেন। একটি ফ্যামোট্যাক সিরাপের মূল্য ৫০ টাকা।

এই পাঁচটি সিরাপ গ্যাস্ট্রিকের জন্য খুবই কার্যকরী। স্থান বেধে সিরাপ গুলোর উল্লেখিত মূল্যের কিছুটা তারমধ্য হতে পারে।

 

গ্যাস্ট্রিকের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি ?

 

গ্যাস্ট্রিকের ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি ?

সকল ঔষধের যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি সকল সেগুলোর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তবে যেকোনো ঔষধ পরিমান মতো সেবন করলে তা থেকে সাধারণত কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তবে গ্যাস্ট্রিকে কিছু ঔষধ রয়েছে যা পরিমান মতো সেবন করলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে।

 

গ্যাস্ট্রিকের ঔষধের কয়েকটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিচে উল্লেখ করা হলো :

১। যারা কোনো প্রয়োজন ছাড়া বেশ কিছু গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ খেয়ে যাচ্ছেন তাদের পরবর্তীতে ভিটামিন, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনের অভাব দেখা দিবে।

২। দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ সেবনের ফলে দেহে রক্ত শূন্যতা হয়ে থাকে।

৩। গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ দীর্ঘদিন সেবন করলে আমাদের কিডনিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

৪। অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ সেবনের ফলে ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হতে পারে।

৫। দীর্ঘদিন গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ সেবনের ফলে ক্যান্সার এর মতো বড় সমস্যা হতে পারে।

ডাক্তার এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী গ্যাস্ট্রিকের ঔষধ ৫৬ দিনের বেশি খাওয়া দেহের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর। তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা যেতে পারে।

 

ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা কি ?

 

পোস্ট টি উপকারে আসলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

 

ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *