জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন অনলাইনে।
আপনারা এখন জানবেন কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হয়। কিভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হয়। সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
কিভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইনের মাধ্যমে সংশোধন করতে হবে এবং কোন কোন ভুল আপনাদের ঠিক করতে হবে। কোন কোন ভুলের জন্য কোন তথ্য বা কি কি কাগজপত্র এবং কি কি প্রমান আপনাদেরকে দিতে হবে। কিভাবে আপনারা নিজের মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার এর মাধ্যমে অনলাইনে নিজের বা পরিবারের অন্যদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য ফরম ফিল-আপ করতে হবে তা আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে বিস্তারিত দেখিয়ে দিব।
বর্তমানে আমাদের দেশের সকলেরই দেখা যায় যে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার কার্ডের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভুল ইনফরমেশন আসে। আপনি সব কিছু ঠিকঠাক দিলেও অনেক সময় জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল হয়। তবে চিন্তার কোন কাটন নেই সেই ভুল ঠিক করার সুযোগ রয়েছে সকলেরই। কারো জাতীয় পরিচয় পত্রে দেখা যায় নাম ভুল হয়, আবার কারো বাবার নাম, মায়ের নাম কারোর আবার ঠিকানায় ভুল হয়। তার জন্য সবার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের বিশেষ থাকে। আপনি ঘরে বসেই ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে এ জাতীয় পরিচয় পত্রের ভুল গুলো সংশোধন করতে পারবেন।
অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে কি কি লাগে ?
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের জন্য আপনাদের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হবে যেমন : আপনার যদি পাসপোর্ট থাকে তাহলে পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন, আপনার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কার্ড, আপনার শিক্ষা গত যোগ্যতার সনদ, ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি থাকে, এবং সার্ভিস বুক বা এমপিও শীট ইত্যাদি। আপনি এই প্রধান ডকুমেন্টস গুলোর যেকোনো দুটো ডকুমেন্টস দিয়েই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার কার্ডের ভুল সংশোধন করতে পারবেন।
যদি মনে করেন যে উপরে উল্লেখিত ৬ টি প্রধান ডকুমেন্টস এর মধ্যে আপনার একটিও নেই তবে আপনি আপনার পরিবারের বাবা,মা,ভাই,বোন এর জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে পারবেন। তাছাড়া আপনারা বিয়ের কাবিন এবং অফিস প্রধানের থেকে পাওয়া প্রত্যয়ন পত্র দিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে পারেন।
সাধারণত জাতীয় পরিচয়পত্রের মধ্যে যে ভুল গুলো বেশি হয়ে থাকে তা হচ্ছে জাতীয় পরিচয় পত্রের সামনের দিকে যে তথ্য গুলো দেওয়া থাকে যেমন :
১. নিজের নাম।
২. বাবার নাম।
৩. মাতার নাম এবং
৪. নিজের জন্ম তারিখ।
এই তথ্য গুলোই অধিকাংশ মানুষের জাতীয় পরিচয় পত্রে ভুল হয়ে থাকে। আর এই তথ্য গুলো সংশোধন করাকেই বলা হয় মূলত জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার কার্ড সংশোধন। আপনাদেরকে এই তথ্য গুলোর মধ্যে একটি বা সবগুলো তথ্যের ভুল সংশোধনএর জন্য একই পরিমান টাকা লাগবে অথবা একই পরিমান ফি প্রদান করে হবে।
এখন আমরা জানবো জাতীয় পরিচয় পত্রের নামের ভুল সংশোধন করতে কি কি করতে হবে।
এবং কোন কোন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পারবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম সংশোধন করতে কোন কোন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন পারবে তা হলো:
১. আপনার পাসপোর্ট যদি থাকে।
২. আপনার জন্ম নিবন্ধন এর সনদ অনলাইন।
৩. আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি থাকে।
৪. আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার যদি কোন সনদ পত্র থাকে যেমন :এসএসসি বা এইচএসসি বা আপনার সমমানের সনদ পত্র।
৫. আপনার বিবাহের কাবিন নামার ডকুমেন্টস যদি থাকে।
বিদ্রো: উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টস এর যেকোন দুইটি ডকুমেন্টস দিয়েই আপনি আপনার নাম সংশোধন করতে পারবেন।
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের বা NID কার্ডের জন্ম তারিখ কিভাবে সংশোধন করতে হবে ।
এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্ম তারিখ সংশোধন করতে যা যা লাগবে তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
১. আপনার পাসপোর্ট যদি থাকে।
২. আপনার জন্ম নিবন্ধন এর সনদ অনলাইন।
৩. আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি থাকে।
৪. আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার যদি কোন সনদ পত্র থাকে যেমন :এসএসসি বা এইচএসসি বা আপনার সমমানের সনদ পত্র।
৫. আপনার বিবাহের কাবিন নামার ডকুমেন্টস যদি থাকে।
বিদ্রো: উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টস এর যেকোন দুইটি ডকুমেন্টস দিয়েই আপনি আপনার নাম সংশোধন করতে পারবেন।
আপনার পিতা-মাতার নামে যদি ভুল থেকে থাকে তাহলে তা সংশোধনের জন্য কি কি করতে হবে।
কোন ডকুমেন্টস গুলো লাগবে তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো।
১. আপনার পাসপোর্ট যদি থাকে অথবা
২. আপনার জন্ম নিবন্ধন এর সনদ অনলাইন।
৩. আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স যদি থাকে,অথবা
৪. আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার যদি কোন সনদ পত্র থাকে যেমন :এসএসসি বা এইচএসসি বা আপনার সমমানের সনদ পত্র।
৫. আপনার পিতা এবং মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি। ৬. আপনি যদি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে সেই অফিসের প্রধান কর্মকর্তার প্রত্যয়ন পত্র।
জাতীয় পরিচয় পত্র বা NID করতে কতো টাকা লাগে ।
আপনার নিজের এবং আপনার ভাই-বোন, বাবা- মা র জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা NID সংশোধন করতে কত টাকা লাগবে তা নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধনের বেশ কিছু ধরন রয়েছে। একেক ধরনের জন্য একেক পরিমাণ ফি প্রদান করতে হয়। কোন ধরনের জন্য কতো ফি প্রদান করতে হবে তা লিস্ট আকারে দেওয়া হলো।
১. আপনার NID এর বিভিন্ন তথ্য সংশোধনের জন্য : (Info Correction) এর ক্ষেত্রে আপনাকে ২৩০ টাকা প্রদান করতে হবে।
২. আপনার NID এর অন্যান্য তথ্য সংশোধনের জন্য : (Other Info Correction) এর ক্ষেত্রে আপনাকে ১১৫ টাকা প্রদান করতে হবে।
৩. আপনাকে যদি উপরের দুটি তথ্যই সংশোধন করতে হয় তাহলে : ( Info Correction ) এর ক্ষেত্রে আপনাকে ৩৪৫ টাকা প্রদান করতে হবে।
৪. আপনার NID এর রিইস্যু করার জন্য : ( Duplicate Regular) এর ক্ষেত্রে আপনাকে ৩৪৫ টাকা প্রদান করতে হবে।
৫. আপনার NID যদি জরুরি ভাবে রিইস্যু করতে হয় তাহলে : এর ক্ষেত্রে আপনাকে (Duplicate Urgent) ৫৭৫ টাকা প্রদান করতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইনে সংশোধন করার নিয়ম।
নিচে আলোচনা করা হলো।
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইনে সংশোধন এবং অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনাকে সর্বপ্রথমে ( Bangladesh NID Application) এই ওয়েবসাইট টিতে যেতে হবে এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম, আপনার NID কার্ডের নম্বর এবং আপনার জন্মের তরিখ দিয়ে ওয়েবসাইট টিতে রেজিষ্ট্রেশন করে নিবেন। সব ইনফরমেশন আপনার NID কার্ড এর তথ্য অনুযায়ী দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। তারপর লগিন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার প্রোফাইলে লগিন করে নিবেন।
এখন আপনার প্রোফাইলের ভুল তথ্য গুলো এডিটের মাধ্যমে ঠিক করে নিবেন। এখন আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ভুল তথ্য গুলো সংশোধন করার জন্য আপনার কার্ডের কেন ধরনের ভুল হয়েছে সেই অনুযায়ী সার্ভিস ফি পে করবেন। তারপর সবশেষে আপনার যে তথ্য গুলো ভুল ছিল সে ভুল গুলো ঠিক করার জন্য আপনাকে সঠিক তথ্য হিসেবে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো আপনার ভুল সম্পর্কিত সকল তথ্যের ডকুমেন্টস এর ছবি তুলে স্ক্যান অথবা পিডিএফ ফরমেটে আপলোড করবেন। এবং অবশেষে আপনার আবেদন সাবমিট অপশন থেকে সাবমিট করে দিবেন।
নিচে দেওয়া ধাপ গুলো অনুসরণ করুন এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ভুল সংশোধন এর আবেদন সম্পূর্ণ করুন।
* ছবি এবং ডকুমেন্টস সাবমিট এর প্রক্রিয়া।
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন এর আবেদন করার আগে আপনাকে আপনার NID তে কোন ধরনের ভুল রয়েছে সেই অনুযায়ী আপনাকে ডকুমেন্টস সংগ্রহ করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলির ভালো ভাবে ছবি তুলতে হবে। ছবিতে যেন পর্যাপ্ত পরিমানে আলো থাকে, ছবি গুলো যেন একদম ক্লিয়ার হয় এবং সেই ছবি স্ক্যান অথবা পিডিএফ ফরমেট করতে হবে। তারপর পিডিএফ ফরমেট টি আপানাার কম্পিউটারের যেকোনো একটি ফোল্ডারে রাখবেন।
* কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্রের বা NID এর ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করবেন।
NID এর মেইন ওয়েবসাইটে যেতে হলে আপনাকে গুগলে সার্চ ওপশনে গিয়ে (Bangladesh NID Application) লিখে সার্চ করতে৷ হবে। তার পর প্রথমে যে সার্চ রেজাল্ট আসবে এটাতে ক্লিক করতে হবে। তারপর ওয়েবসাইটটি ওপেন হবে। এখন রেজিষ্ট্রেশন অপশনে ক্লিক করে আপনার NID এর তথ্য অনুযায়ী রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন করার সময় আপনার ফেস ভেরিফিকেশন করতে হবে।
* কিভাবে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য সংশোধন করবেন।
আপনি যদি জাতীয় পরিচয় পত্রের ওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে থাকেন তাহলে ইউজার নেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করে নিবেন। তারপর তেসবোর্ড টি ওপেন হবে। সেখানে একটি বক্সের মধ্যে ৩ টি অপশন দেয়া থাকবে। অপশন গুলো হলো
* ব্যক্তিগত তথ্য।
* অন্যান্য তথ্য এবং
* ঠিকানা।
আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ঠিক করার জন্য ব্যক্তিগত তথ্যের ডান পাশে একটি নীল এডিট করার অপশন পেয়ে যাবেন সেখানে ক্লিক করবেন। তারপর অন্য একটি পেজ ভিউ হবে। সেখান থেকে আপনার ভুল তথ্য গুলো এডিট করে সংশোধন করতে হবে। আপনি আপনার যে ভুল তথ্য গুলো ঠিক করতে চাচ্ছেন সেই তথ্যের বামপাশে থাকা টিক চিহ্নের মধ্যে ক্লিক করবেন।ঠিক একই ভাবে আপনি আপনার প্রয়োজন মতো তথ্য গুলো সংশোধন করে নিবেন।
আপনি যে তথ্য গুলো দিবেন তা যেন আপনার সঠিক ডকুমেন্টস অনুযায়ী হয়। সব তথ্য ঠিক ঠাক দেওয়া হয়ে গেলে পরবর্তী এই অপশনটিতে ক্লিক করে নেক্সট পেজে যাবেন সেখানে যেই তথ্য গুলো আগের পেজে দিয়েছেন তা পুনরায় সংশোধন করতে বলবে। যদি সব ঠিক থাকে তাহলে নেক্সট এ ক্লিক করবেন।
* কিভাবে ফি প্রদান করতে হয়।
এবার আপনি কোন তথ্য গুলো সংশোধন করেছেন সেই তথ্যের ধরন সাপেক্ষে আপনাকে ফি প্রদান করতে হবে। এতক্ষণ আপনি আপনার কম্পিউটার অথবা ফোন দিয়ে যে কাজ গুলো করেছেন সেই টেপ গুলো কাটবেন না রেখে দিবেন। কারন বিকাশ অথবা নগদ দিয়ে যে বিল পরিশোধ করেছেন তা এখানে সাবমিট করতে হবে।
* বিকাশে কিভাবে বিল পরিশোধ করতে হবে।
আমি জানি আপনাদের সকলেরই বিকাশ রয়েছে। তো বিকাশ দিয়েই আপনারা সহজে বিল পেমেন্ট করবেন।
এখন বিকাশ এপ্লিকেশনটি ওপেন করবেন। সেখান থেকে সরকারি ফি যে অপশনটি আছে সেখানে ক্লিক করবেন। তারপর NID fee এই অপশনে ক্লিক করবেন। তারপরে একটি অপশন পাবেন সেখানে আপনর জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার টি সঠিক ভাবে ইংরেজিতে দিবেন।
সবশেষে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে কোন ধরেনর ভুল সংশোধন করতে চাচ্ছেন সেই ধরন অনুযায়ী আবেদনের ধরন বাছাই করবেন। এর পর আপনার বিকশ এ্যাপের পিন নাম্বারটি দিয়ে কমপ্লিট এ ক্লিক করে কনফার্ম করবেন। এখন পুনরায় আবার Bangladesh NID Application এই ওয়েবসাইটে ফেরত যাবেন।
* কিভাবে ডকুমেন্ট সাবমিট করবেন।
আমি ব্লগ পুস্টের শুরুতেই বলেছিলাম আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস গুলো আপনার কম্পিউটার অথবা ফোন এর মধ্যে ফোল্ডার আকারে রাখবেন। আশা করছি আপনারা তা করেছেন। এখন আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রে যে ভুল হয়েছে তার ধরন অনুযায়ী প্রমান, ডকুমেন্টস গুলো আপলোড করার অপশনে গিয়ে সাবমিট করবেন। আপনার কাজ শেষ এখন ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ভুল সংশোধন হয়ে যাবে। আরেকটি কাজ বাকি রয়েছে যে কাজ করেছেন তার
একটি ফাইল ডাউনলোড করার কাজ।
* কিভাবে জাতীয় পরিচয় পত্রের ভুল সংশোধন এর ফাইল ডাউনলোড করবেন।
তথ্য গুলো সাবমিট করার পরে ওয়েবসাইটের ডেস বোর্ডে ফিরে আসবেন। এখন উপরের দিকে ফাইল ডাউনলোড করার একটি লিংক পেয়ে যাবেন। সেখানে ক্লিক করবেন এবং ফইলটি ডাউনলোড করে নিবেন।
পোস্টটি ভালো লাগলে নিচে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।