জন্ম নিবন্ধন

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ ।

আজকে আপনাদের জানাবো কিভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর জন্য আবেদন করবেন। কিভাবে জন্ম নিবন্ধন কার্ড করার জন্য অনলাইনে ফর্ম পূরন করবেন। তা নিয়ে আজকে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা এবং কিভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন তা দেখাবো।

 

Table of Contents

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম পূরণ

 

এটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট কেননা অনেকেরই নতুন জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর অনলাইন আবেদন সম্পর্কে কোন ধারনা নেই। তাই আপনাদের চলে যেতে হয় আপনার এলাকার আসে পাশের কোন ই সার্ভিস দেয় এমন দোকানে। কিছু নিয়ম জানলে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য অনলাইনে আবেদন করা অনেক সহজ। বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়া জানলেই আপনি অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

 

আপনারা জেনে থাকবেন যে বার্তমান সময়ে এখন আর হাতে লিখার মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর ফর্ম পূরন করে আবেদন করা যায় না। এখন জন্ম নিবন্ধনের সব কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ করতে হয়। তাই বেশির ভাগ মানুষই এখন জন্ম নিবন্ধনের ফর্ম পূরন এবং আবেদন করার জন্য কেন ই সার্ভিস দেয় এমন দোকান ছুটছেন। কিন্তু আপনি চাইলে খুব সহজেই ঘরে বসেই জন্ম নিবন্ধন কার্ড করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

কিভাবে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করব।

আপনারা জানেন যে জন্ম নিবন্ধন এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী – একটি নবজাতকের ১ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন কার্ড করার জন্য বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ সরকার। (বাংলাদেশ আইন ২০০৪ অনুযায়ী) তবে যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য তাহলে আপনারা কিছু সময় নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি শিশুর ৫ বছরের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন করে ফেলবেন। শিশুর বয়স যদি ৫ বছরের বেশি হয়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই আমার সাজেশন থাকবে আপনি শিশুর ৫ বছরের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর কাজ সম্পূর্ণ করবেন।

জন্ম নিবন্ধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে।

 

জেনে নেওয়া যাক ০ থেকে ৪৫ দিন বছরের শিশুর জন্ম নিবন্ধন করার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে।

১। শিশুর UIP টিকার কার্ড।

২। শিশুর বাবা এবং মা উভয়ের অনলাইন জন্ম নিবন্ধন এর কপি।

৩। শিশুর বাবা এবং মা দুজনের জাতীয় পরিচয় পত্রের কপি।

৪। বাসা/বাড়ির হোল্ডিং নাম্বার। এবং

৫। শিশুর বাবা মায়ের মেবাইল নম্বর।

জেনে নেওয়া যাক ৪৫ বছরের পর থেকে ৫ বছরের শিশুদের জন্ম নিবন্ধন কার্ড করতে কি কি লাগবে।

১। শিশুর UIP টিকার কার্ড।

২। টিকা দেয়ার পরে স্বাস্থ্যকর্মীর দেওয়া প্রত্যায়ন পত্র।

৩। বাবা মায়ের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।

৪। বাবা এবং মা দুজনের জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর অনলাইন কপি।

৫। বাসা/বাড়ির হোল্ডিং নাম্বার।

৬। বাবা মায়ের মেবাইল নম্বর।

৭। অনলাইনে আবেদন করার সময় এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

জেনে নেওয়া যাক শিশুর ৫ বছরের বেশি হয়ে গেলে জন্ম নিবন্ধন কার্ড করতে কি কি লাগবে।

১। শিশুর পিতা-মাতা দুজনের জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর অনলাইন কপি।

২। শিশুর পিতা-মাতা দুজনের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।

৩। স্কুল বা অন্যান্য বোর্ড কর্তৃক দেওয়া শিক্ষা সনদ, (বয়স প্রমান করার জন্য)

৪। বাবা মায়ের ঠিকানা স্থায়ীত্বের প্রমান পত্র।

কাগজ পত্র সংগ্রহ হশে গেলে এখন আপনাকে জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন করতে হবে

 

আমারা অনেকেই জানি না যে কিভাবে জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন করতে হয়। নিচে আপনারা কিভাবে জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন করবেন তার সম্পূর্ণ কার্যক্রম ছবি সহ দেখানো হবে। আশা করি পোস্টটি পড়ে আপনারা উপকৃত হবেন।

 

কিভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করব।

১। প্রথমে আপনাকে https://bdris.gov.bd/br/application এ লিখে গুগলে সার্চ করলে আপনাকে সরাসরি জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন করতে একটি ওয়েবসাইটে নিয়ে যাবে। ওয়েবসাইটের পেজটি নিচের ছবিতে দেখুন।

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম

এখান থেকে আপনি জন্ম নিবন্ধন এটি সিলেক্ট করবেন এর নিচে অনেক গুলো অপশন আসবে সেখান থেকে জন্ম নিবন্ধন আবেদন এটি সিলেক্ট করুন। নিচে ছবিতে দেখুন।

                               নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম

এখন আপনার সামনে নিচের মতো পেজ আসবে

                             নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম

এখান থেকে আপনাকে আপনার জন্ম নিবন্ধনে যে জন্ম স্থানটি দিতে চান সেটি সিলেক্ট করবেন। সিলেক্ট করা হয়ে গেলে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন।

পরবর্তী অপশনে ক্লিক করলে আপনি নিচের ছবির মতো একটি পেজ সামনে আসবে –

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম

এখানে আপনাকে ফর্ম পূরন করতে হবে।

★ প্রথমে আপনাকে আপনার নামটি সঠিক ভাবে দিতে হবে। আপনার নামের যদি ১ টি অংশ থাকে তাহলে ( নামের প্রথম অংশ বাংলায়) এই ঘরটি ফাকা রাখবেন। ( নামের শেষ অংশ বাংলায় ) এই ঘরে আপনার নামটি দিবেন। আপনার নামের যদি ২ টি অংশ থাকে তাহলে প্রথম ঘরে নামের প্রথম অংশ এবং দ্বিতীয় ঘরে নামের দ্বিতীয় অংশ বসাবেন। যদি আপনার নামের ৩ টি অংশ থাকে তাহলে পর্থম ঘরে আপনার নামের প্রথম অংশ লিখবেন এব দ্বিতীয় ঘরে নামের দ্বিতীয় অংশ এবং শেষ অংশ দুটি লিখবেন। এভাবে আপনার নাম সঠিকভাবে লিখবেন।

★এরপর ঠিক একই ভাবে বাংলা নাম যেভাবে দিয়েছেন সে নিয়মে আপনার নামটি ইংরেজিতে লিখে দিবেন।

★ এরপর আপনার জন্ম তারিখ সঠিক ভাবে দিতে হবে।

★ আপনি আপনার বাবা মার কতো তম সন্তান তা সিলেক্ট করে দিবেন।

★ এর পর আপনি ছেলে/মেয়ে অথবা আপনার লিঙ্গ সিলেক্ট করে দিবেন।

★ তারপর দেশ নির্বাচন করতে হবে সেখানে ক্লিক করে বাংলাদেশ সিলেক্ট করে দিবেন।

★ তারপর বিভাগ সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যে বিভাগে বাস করেন তা সিলেক্ট করে দিবেন।

★ এরপর আপনার পোস্ট অফিস বা ডাকঘর দিবেন বাংলায়।

★ আপনার পোস্ট অফিস বা ডাকঘর দিবেন ইংরেজিতে।

★ এরপর আপনি যে এলাকাতে বসবাস করেন তা বাংলায় এবং ইংরেজিতে লিখে দিবেন।

★ আপনার বাসার বা আপনার বাসার সড়কের নাম্বার দিবেন বাংলায় এবং ইংরেজিতে লিখে দিবেন।

সঠিকভাবে ইনফরমেশন গুলে দেওয়া হয়ে গেলে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করবেন।

২। এখন আপনাকে আপনার বাবা মা, পিতা মাতার নাম সঠিকভাবে দিতে হবে।

আপনি ফর্মের প্রথম অংশে সব ইনফরমেশন সঠিক ভাবে দিয়ে পরবর্তী অংশে ক্লিক করলে নিচের ছবির মতো একটি পেজ ওপেন হবে।

                                            নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম

এখানে প্রথম অংশে পিতার ইনফরমেশন এবং দ্বিতীয় অংশে মাতার সকল ইনফরমেশন সঠিক ভাবে দিতে হবে।

পিতার তথ্য থেকেঃ

★ প্রথমে আপনার পিতার জন্ম নিবন্ধন কার্ডঅনুযায়ী কার্ডের নাম্বারটি দিতে হবে।

বিদ্রঃ আপনার পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন কার্ড অবশ্যই অনলাইন করা থাকতে হবে। আপনি আপনার অথবা আপনার ছেলে মেয়ের জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার আগে বাবা মায়ের জন্ম নিবন্ধন কার্ড অনলাইন করে নিতে হবে। যদি পিতা মতার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করা না থাকে তাহলে আবেদন করা যাবে না।

আপনার পিতার জন্ম নিবন্ধন কার্ড অনুযায়ী ১৭ ডিজিটের নাম্বারটি দিয়ে দিলে নিচের অপশন গুলো অটো ফিল আপ হয়ে যাবে।

★ এর পর আপনার পিতার দেশ বা আপনার পিতার জাতীতা কি তা সিলেক্ট করে দিবেন।

মাতার তথ্য থেকেঃ

★ প্রথমে আপনার মায়ের জন্ম নিবন্ধন কার্ড অনুযায়ী কার্ডের নাম্বারটি সঠিক ভাবে দিতে হবে। আপনার মাতার জন্ম নিবন্ধন কার্ড অনুযায়ী ১৭ ডিজিটের নাম্বারটি দিয়ে দিলে নিচের অপশন গুলো অটো ফিল আপ হয়ে যাবে।

★ আপনার মাতার দেশ বা আপনার পিতার জাতীতা কি তা সিলেক্ট করে দিবেন। সব ইনফরমেশন গুলো সঠিক ভাবে দিয়ে দিলে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করবেন।

৩। এখনে আপনাকে আপনার ঠিকানা নির্বাচন করতে হবে। এখানে আপনাকে আপনার স্থায়ী ঠিকানা এবং বর্তমান ঠিকানা দিয়ে কনফার্ম করতে হবে। নিচে ছবিতে দেখুন।

                                               নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম

উপরের ছবিতে আপনি দুটি অপশন পেয়ে যাবেন। সেখূনে দুটি অপশনই একই রকম থাকবে। সেখানে থাকা দুটি অপশনের পাশে থাকা (কোনটিই নয়) তে টিক মার্ক করে দিবেন। এখন পরবর্তী অপশনে ক্লিক করবেন।

পরবর্তী অপশনে ক্লিক করলে নিচের ছবির মতো একটি পেজ ওপেন হবে। সেখানে আপনার ঠিকানা এবং বিস্তারিত ইনফরমেশন দিতে হবে।

   নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম

* প্রথমে আপনাকে দিতে হবে আপনার স্থায়ী ঠিকানা।

১। আপনার দেশ সিলেক্ট করবেন।

২। এর পর আপনার বিভাগ নির্বাচন করবেন।

৩। আপনার পোস্ট অফিস বা ডাকঘর বাংলায় ও ইংরেজিতে লিখে দিবেন।

৪। আপনি যে এলাকাতে থাকেন তা বাংলায় ইংরেজিতে লিখে দিবেন।

৫। আপনার বাসার নাম্বার বা আপনার বাসার সড়ক নাম্বার বাংলা এবং ইংরেজিতে লিখে দিবেন।

আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা একই হলে নিচে বর্তমান ঠিকানার অপশনে আপনাকে আলাদা করে তথ্য গুলো পূরণ করতে হবে না। প্রথমে উপরের আপনার স্থায়ী ঠিকানার উপরের (জন্মস্থানের ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা একই) এই অপশনে ক্লিক করে দিবেন। তার পর নিচে বর্তমান ঠিকানার উপরে ( স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই) এই অপশনে ক্লিক করে দিবেন। সব ইনফরমেশন সঠিক ভাবে দওয়া হয়ে গেলে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুণ।

 

৪। এখানে আপনি কার জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন তা উল্লেখ করতে হবে ব আবেদনকারীর তথ্য দিতে হবে। পরবর্তী অপশনে ক্লিক করার পর নিচের ছবির মতো একটি পেজ ওপেন হবে।

   নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম

বেশির ভাগ সময় দেখা যায় যে এখন তার পিতা বা মাতা সন্তানের জন্য নিজেই অনলাইনে আবেদন করে থাকেন। যদি আপনি আপনার নিজের জন্য জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর অনলাইনে আবেদন করতে চান তাহলে (নিজ) এই অপশনটি সিলেক্ট করে দিবেন।

আর যদি আপনার সন্তানের জন্য বা অন্য কারোর জন্য জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর অনলাইনে আবেদন করতে চান তাহলে (অন্যান্য) এই অপশনটি সিলেক্ট করে দিবেন। এরপর আপনার মোবাইল নাম্বার দিবেন। এরপর আপনাকে একটি ইমেইল এড্রেস দিতে হবে। আপনি অবশ্যই সচল মোবাইল নাম্বার এবং সচল একটি ইমেইল এড্রেস দিবেন। সব ইনফরমেশন ঠিক ভাবে দিয়ে দিলে পরবর্তী অপশনে ক্লিক করুণ।

 

৫। এখানে আপনার জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করতে হবে। পরবর্তী অপশনে ক্লিক করলে আপনি নিচের ছবির মতো একটি পেজ পাবেন সেখানে আপনার জন্ম নিবন্ধন ফর্মের ডাউনলোড করতে বলবে।

নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম
নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন ফরম

*ছবিতে থাকা প্রথম অপশনে আপনাকে (paper size) সিলেক্ট করতে বলবে এখানে আপনি (4A size) করে দিবেন।

* এরপর (Pages per sheet) সিলেক্ট করতে হবে। এখানে আপনি 1 রাখবেন।

* এরপর (Margins) এই অপশনটি ডিফল্ট রাখবেন।

* (Scale) এই অপশনটি ও ডিফল্ট রাখবেন।

* এরপর (Option) এখানে ২ টি অপশন পাবেন সেখান থেকে ( Headers and footers) এই এই অপশনটি সিলেক্ট করে দিবেন।

এখন প্রিন্ট অপশনে ক্লিক করলেই আপনার জন্ম নিবন্ধন এর আবেদন ফর্মটি প্রিন্ট হয়ে যাবে।

 

যদি আপনি সাথে সাথে জন্ম নিবন্ধন আবেদনের ফর্মটি ডাউনলোড করতে না চান তাহলে আপনি পরবর্তীতে ডাউনলোড করতে পারবেন।

 

অনেকেই ভাবছেন যে আমার তো প্রিন্স মেশিন নেই কিভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করবেন কেউবা এমনিতেই পরে ডাউনলোড করগে চায়। প্রিন্ট আউট মেশিন না থাকলে আপনি যেকোনো ই সার্ভিস এব স্টোর থেকে প্রিন্ট আউট করে নিতে পারবেন।সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার আবেদন আইডিটি মনে রাখতে হবে। আপনি যখন আবেদন করার লাস্ট ধাপে যাবেন সেখানে আবেদন আইডি পেয়ে যাবেন।

আর যদি আপনি পরে ডাউনলোড করতে চান তাহলে আবার পূনরায় ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবেন সেখানে জন্ম নিবন্ধন অপশন থেকে জন্ম নিবন্ধন আবেদন পত্র প্রিন্ট এখূনে ক্লিক করবেন। এরপর নিচের ছবির মতো একটি পেজ ওপেন হবে। এখানে আবেদন আইডি এবং আপনার জন্ম তারিখ দিয়ে প্রিন্ট অপশনে ক্লিক করবেন। তাহলে নিচের ছবির মতো একটি পেজ ওপেন হবে সেখানে সঠিক ইনফরমেশন দিয়ে পূনরায় প্রিন্ট অপশনে ক্লিক করলে প্রিন্ট আউট হবে।

এখন এই ফর্মটি নিয়ে আপনার পৌরসভা অফিস বা আপনার ইউনিয়ন অফিসে চলে যাবেন এবং জমা দিবেন। আপনার কাজ শেষ।

আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন না করেন তাহলে আপনাকে যে যে সমস্যায় পরতে হবে।

★আমরা সকলেই জানি যে বর্তমানে বাচ্চাদের যখন স্কুলে ভর্তি করাতে হয় তখন জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর প্রয়োজন হয়।কিছু স্কুল আছে যেখানে প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ভালো কোন স্কুলে ছেলে মেয়েদের ভর্তি করাতে হলে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন কার্ড প্রয়োজন। তাই বলা যায় জন্ম নিবন্ধন কার্ড না থাকলে ছেলে মেয়েকে ভালো কোন প্রতি ভর্তি হতে পারবে না।

★ জন্ম নিবন্ধন কার্ড না থাকলে জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার কার্ড করতে পারবেন না। জন্ম নিবন্ধন কার্ড না কলে জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য আবেদন করা যায় না। এতে আপনি রাষ্ট্রের বিভিন্ন মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। এমনকি ভোটাধিকার থেকেও বঞ্চিত হবেন।

★ সরকারি চাকরি বা সাধারণ চাকরি এই দুটো ক্ষেত্রেই আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন কার্ড এসব ডকুমেন্টস জমা দিতে হয়। যদি জন্ম নিবন্ধন না থাকে তাহলে এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো থেকে আপনাকে বঞ্চিত হতে হবে।

★ আপনি যখন পাসপোর্ট করতে যাবেন আপনার সর্বপ্রথমেই প্রয়োজন হবে জন্ম নিবন্ধন কার্ড। পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন কার্ডের ফটোকপি দিতেই হবে। তার পরেই জাতীয় পরিচয় পত্র। এক্ষেত্রে যদি জন্ম নিবন্ধন না থাকে তাহলে জাতীয় পরিচয় পত্র ও দেখাতে পারবেন না এবং জন্ম নিবন্ধন কার্ড ও দেখাতে পারবেন ফলে আপনি পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন না।

★ তাছাড়া আপনাট বিয়ের নিবন্ধন, আপনার সম্পত্তির ক্রয় এবং বিক্রয়, আপনার বয়স প্রমান ইত্যাদি আরোও অনেক বিষয় থেকে জন্ম নিবন্ধন কার্ড না থাকার ফলে আপনাকে বঞ্চিত হতে হবে। তাই আপনার হোক কিংবা আপনার সন্তানের হোক যদি এখনও জন্ম নিবন্ধন কার্ড না করে থাকেন তাহলে খুব শীগ্রই জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর আবেদন সম্পূর্ণ করুন। এবং খুব শীগ্রই জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর কার্যক্রম সম্পূর্ণ করুন।

পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *