পাসপোর্ট

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২২।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২২ । পাসপোর্ট হলো আন্তর্জাতিক যাতায়াতের প্রধান বাহন।কেননা পাসপোর্ট ছারা এক দেশ হতে অন্য দেশে গমন করা যায় না। তাই বর্তমান সময়ে সকলেরই একটি পাসপোর্ট থাকা জরুরি। তাই অনেকেই ছুটছেন নিজের জন্য একটি পাসপোর্ট করতে। কিন্তু অনেকেই পাসপোর্ট করার সঠিক নিয়ম কিভাবে করতে হবে এই তথ্য গুলো না জেনে পাসপোর্ট করতে যায়।এবং সেখানে গিয়ে তারা নানা রকম বিভ্রান্তি ও প্রতারণার স্বীকার হয়ে।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২২।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২২।
অনেকে দেখা যায় পাসপোর্ট করার জন্য তার নিকটবর্তী ই সার্ভিস এর দোকানে যায় পাসপোর্ট এর আবেদন করতে। কিন্তু সে পাসপোর্ট সম্পর্কে আগে থেকে না জানার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে করে নিয়ে যেতে পারে না। ফলে তাকে আবার কাগজপত্রসংগ্রহ করার জন্য বাড়ি ফিরতে হয়। আবার অনেকে দেখা যায় পাসপোর্ট করার দালালের পাল্লায় পরে। সব দালাল আাবার এক রকম নয় কি পাসপোর্ট দালাল আাছে আপনার কাছ থেকে বেশি টাকা নিবে কিন্তু কাজ সঠিক সময়ে তাদের কথা অনুযায়ী করে দিবেন।

আবার অনেক দালাল আাছে যারা ফ্রট করে। আজকে আমি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে আমার সম্পূর্ণ নিজের অভিজ্ঞতা জানাবো কিভাবে পাসপোর্ট করতে হবে এবং পাসপোর্ট করতে কি কি লাগবে। এবং ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগবে এবং কিভাবে করতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক পাসপোর্ট এবং ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে।

 

প্রথমে আমরা জানবো কিভাবে পুরাতন পাসপোর্ট বা মেনুয়াল পাসপোর্ট করতে কি কি লাগবে। এবং কিভাবে মেনুয়াল বা পুরাতন পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

* পাসপোর্ট আবেদন ফর্ম ডাউনলোড।

 

পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে প্রথমে আবেদন ফর্ম (vip from 1) ডাউনলোড করতে হবে। ডাউনলোড করে এর দুটি প্রিন্ট কপি করে নিতে হবে। এবং প্রিন্ট করা শেষ হয়ে গেলে সঠিক তথ্য ও ইনফরমেশন দিয়ে আবেদন ফর্মটি পূরণ করবেন।
অবশ্যই আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী তথ্য গুলো দিয়ে ফর্ম পূরন করতে হবে। তারপর ফর্মটির ৪ র্থ পেজে অবশ্যই একজন সরকারি কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে নিতে হবে। বলে রাখা ভালো অবশ্যই কিন্তু আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী ফর্ম পূরন করতে হবে।
এখন আপনি যে ফর্মটি পূরন করেছেন সেটার মধ্যে উপরের কোনায় ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের তোলা ছবি আঠাদিয়ে ভালো ভাবে লাগিয়ে দিবেন। যদি পাসপোর্ট আবেদনকারীর বয়স এখনোও ১৫ বছর না হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বাবা এবং মা উভয়েরই দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ফর্মের সাথে আঠা দিয়ে বসিয়ে দিবেন। ছবি বসানোর কাজ শেষ হলে পূনরায় সত্যায়িত করে নিবেন।
তার পর জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার কার্ড থাকলে তার দু কপি ফটোকপি এবং জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার কার্ড না থাকলে জন্ম নিবন্ধন কার্ডের দু কপি ফটোকপি করে নিতে হবে। তারপর পাসপোর্ট আাবেদনকারী যদি কোন পেশার সাথে জরিত থাকে তাহলে সে কোন পেশায় নিয়োজিত আছেন তার একটি সনদ লাগবে।পাসপোর্ট আবেূনকারীকে তার পেশার সনদটি সংগ্রহ করতে হবে। এবং অরিজিনাল সনদের দু কপি ফটোকপি করে নিতে হবে।
আপনি যদি অফিসিয়াল পাসপোর্ট আবেদনকারী হন তবে একটি সরকারী আদেশনামা বা গভর্নমেন্ট অনুমতি সনদ নিতে হবে এবং ফর্মের সাথে তা যুক্ত করে দিতে হবে। আবার অফিসিয়াল পাসপোর্ট আবেদন করার ক্ষেত্রে আবেদনকারী যদি সরকারি কর্মকর্তা হয়ে থাকেন তাহলে তাকে পেনশন গ্রহনের যে বুক রয়েছে তার একটি ফটোকপি লাগবে। যা ফর্মের সাথে যুক্ত করে নিতে হবে।

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগবে ২০২২।

পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২২।
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২২।
ই পাসপোর্ট করার জন্য আপনাকে মেনুয়াল পাসপোর্ট করার মতোই প্রথম কয়েকটি ধাপ পূরন করতে হবে।
      * প্রথমে আবেদনকারীকে তার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ২ কপি।
      * যদি আবেদনকারী প্রাপ্ত বয়স্ক না হয়ে থাকে অর্থাৎ ভোটার কার্ড না থাকে তাহলে তার জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি ২ টি।
      * আবেদনকারী যদি কোন পেশার সাথে জরিত থাকে তাহলে তাকে সে পেশার একটি সনদ পত্র লাগবে।
      * আবেদনকারী যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকে তাহলে তাকে স্টুডেন্ট আইডি কার্ড এর ফটোকপি লাগবে।
বিদ্রো: পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার সময় উপরে উল্লেখিত সবগুলো প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাথে নিয়ে যেতে হবে।
আপনি যদি অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন করে থাকেন তাহলে তাকে অনলাইন আবেদনের ফটোকপি। আপনি যে ব্যাংক এর মাধ্যমে পাসপোর্ট এর নির্ধারিত ফি পরিশোধ করেছেন তার রশিদ সাথে নিয়ে যেতে হবে।
আপনার এলাকার চেয়ারম্যান এর একটি সনদ পত্র লাগবে। আপনার স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা আলাদা হলে আপনার বর্তমান ঠিকানার নাগরিকত্ব সনদ লাগবে। আর আপনি আপনার যদি স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা আলাদা হয়। এবং বর্তমান ঠিকানায় আপনার নাগরিকত্ব নেই তবে আপনাকে পাসপোর্ট করতে হলে আপনার স্থায়ী ঠিকানাধীন পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে পাসপোর্ট করতে হবে।
আপনি যদি আপনার মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট রি ইস্যু করতে চান তাহলে আপনার মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট এর ফটোকপি জমা দিতে। এবং আপনার মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট টি সাথে করে নিয়ে আপনার জেলা ভিত্তিক পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে।
উপরে উল্লেখিত প্রতিটি ডকুমেন্টস যদি আপনি পাসপোর্ট করার জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে যান তাহলে তাহলে সুন্দর ভাবে আপনার পাসপোর্ট আবেদন সম্পূর্ণ হবে।

কত দিনে ই পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়।

পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন সম্পূর্ণ হয়ে গেলে সকলের মাথায় একটা কথাই আসে তা হচ্ছে যে কত দিনের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পাবো। এটা নির্ভর করবে আপনি কত টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট করবেন কয়টি পৃষ্ঠায় পাসপোর্ট করা হবে এবং কত বছর মেয়াদি হবে। সে অনুযায়ী আপনি কবে পাসপোর্ট হাতে পাবেন তা নির্ধারণ করা হবে।
* আপনি যদি পাঁচ বছর ও দশ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট করতে চান তাহলে এক একটির জন্য আলাদা আলাদা ভিন্ন ভিন্ন ফি জমা দিতে হবে।
আপনাদের জেনে রাখা ভালো যে ই পাসপোর্ট ২ ধরনের রয়েছে।
                  1. একটি হচ্ছে ৪৮ পেজ এবং
                  2. অন্যটি হচ্ছে ৬৪ পেজ এর।
আবার পাসপোর্ট পক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে হাতে আসার সময় অনুযায়ী পাসপোর্ট ২ ধরনের। যেমনঃ ১। জরুরি এবং সাধারণ পাসপোর্ট। ২। আরেকটি হচ্ছে অতি জরুরি পাসপোর্ট। পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে ২০২২ । এখানে বলে রাখা ভালো আপনি যদি অতি জরুরি পাসপোর্ট গ্রহণ করতে চান, তাহলে ১০ বছর মেয়াদি বা ৫ বছর মেয়াদি যে টাইপের পাসপোর্ট ই করতে চান না কেন, সাধারণ পাসপোর্ট এর থেকে জরুরি পাসপোর্ট করতে বেশি অর্থ প্রদান করতে হবে।

৪৮ পেইজের ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট।

* পাসপোর্ট টি যদি ২ দিনে পেতে চান তাহলে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে ৭৫০০ টাকা। (অতি জরুরি)
* পাসপোর্ট টি যদি ৭ দিনে পেতে চান তাহলে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে ৫৫০০ টাকা। (জরুরি)
* পাসপোর্ট টি যদি ১৫ দিনে পেতে চান তাহলে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে ৩৫০০ টাকা। (সাধারণ)

৪৮ পেইজের ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট।

* পাসপোর্ট টি যদি ২ দিনে পেতে চান তাহলে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে ৯০০০ টাকা। (অতি জরুরি)
* পাসপোর্ট টি যদি ৭ দিনে পেতে চান তাহলে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে ৭০০০ টাকা। (জরুরি)
* পাসপোর্ট টি যদি ১৫ দিনে পেতে চান তাহলে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে ৫০০০ টাকা। (সাধারণ)

৬৪ পেইজের ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট।

* পাসপোর্ট টি যদি ২ দিনে পেতে চান তাহলে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে ১০৫০০ টাকা। (অতি জরুরি)
* পাসপোর্ট টি যদি ৭ দিনে পেতে চান তাহলে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে ৭৫০০ টাকা। (জরুরি)
* পাসপোর্ট টি যদি ১৫ দিনে পেতে চান তাহলে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে ৫৫০০ টাকা। (সাধারণ)

৬৪ পেইজের ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট।

* পাসপোর্ট টি যদি ২ দিনে পেতে চান তাহলে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে ১২০০০ টাকা। (অতি জরুরি)
* পাসপোর্ট টি যদি ৭ দিনে পেতে চান তাহলে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে ৯০০০ টাকা। (জরুরি)
* পাসপোর্ট টি যদি ১৫ দিনে পেতে চান তাহলে আপনাকে অর্থ প্রদান করতে হবে ৭০০০ টাকা। (জরুরি)

পোস্ট টি আপনাদের উপকারে আসলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *