Online Earningশরীর ও স্বাস্থ্য

বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি ?

আজকে এই পোস্টের মাধ্যমে আলোচনা করবো বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি এই বিষয় নিয়ে। আমরা সকলেই জানি বাচ্চাদের ঠান্ডা, সর্দিকাশি, হাপানির অসুখ একটি নিয়মিত ঘঠনা। এই অসুখ গুলো থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য টোফেন সিরাপ অনেক কার্যকরী একটি ঔষধ। টোফেন সিরাপ এর কার্যকরীতা, টোফেন সিরাপ খাওয়ানোর নিয়ম এবং টোফেন সিরাপ এর দাম নিয়ে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। পুরো পোস্ট টি পড়বেন আশা করছি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।

 

বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি ? 

 

বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি
বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি ?

 

আমাদের সকলের কাছেই টোফেন সিরাপ অতি পরিচিত একটি ঔষধ। এ সিরাপটি শুধু বাচ্চাদের ক্ষেত্রেই নয় বরং বড়দের বিভিন্ন রোগের ও অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী একটি ঔষধ।

বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি, টোফেন সিরাপ আমাদের বাচ্চাদের যখন ঠান্ডা, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো অসুখ গুলো হয় তখন তা থেকে সুস্থ হওয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ এই টোফেন সিরাপ। এই অসুখ গুলো হলে বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ খাওয়ালে দেখা যায় বেশিরভাগ সময়ই বাচ্চারা সুস্থ হয়ে যায়।

 

বাচ্চা ছেলে মেয়েরা নানা কারনেই যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যায়। অসুস্থ হলেও তারা বলতে পারে না কি অসুখ হয়েছে। তাই বাচ্চাদের অনেক যত্ন সহকারে এবং দেখে শুনে রাখতে হয়। তবে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে তা বুঝা যায়।

যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার বাচ্চার ঠান্ডা লেগেছে তখন তার প্রতি বিশেষ নজর দিন। কেননা এই ঠান্ডা থেকে বাচ্চাদের অনেক বড় অসুখ হতে পারে। ঠান্ডা, সর্দিকাশি এবং শ্বাসকষ্ট প্রতিকারের জন্য অনকে গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকরী একটি ঔষধ এই টোফেন সিরাপ।

 

তাই আপনি যখন বুঝতে পারবেন যে আপনার বাচ্চার ঠান্ডা, সর্দিকাশি এবং শ্বাসকষ্ট এই অসুখ গুলো হয়েছে তাহলে সাথে সাথেই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনার বাচ্চাকে টেফেন সিরাপটি সেবন করান।

তবে হে একটি কথা মনে রাখতে হবে বাচ্চা শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের যে অসুখই হোক না কেন প্রথমে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খাওয়াবেন। বাচ্চাদের যেকোনো ঔষধ সেবনের ক্ষেত্রে আপনাকে বিশেষ খেয়াল এবং সতর্ক থাকতে হবে।

 

যখন আপনি দেখবেন যে আপনার বাচ্চার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তখন আপনি তাকে তাত্ক্ষণিক টোফেন সিরাপটি সেবন করাবেন। টোফেন সিরাপটি সেবন করানোর ফলে দেখতে পাবেন আপনার বাচ্চার শ্বাসকষ্ট অনেকটাই কেটে গেছে।

সকলেই জানেন যে একটি ঔষধ দিনে তিন বার খাওয়ার নিয়ম থাকে। তিন বেলা খাওয়ার পরেই সাধারণত সব ঔষধই সেবন করতে হয়।

 

সে হিসেবে আপনার বাচ্চার শ্বাসকষ্ট হলে ২ থেকে তিনবার যখন টোফেন সিরাপটি সেবন করাবেন তখন আপনার বাচ্চা অনেকটাই সুস্থ হয়ে যাবে।

তাছাড়া আপনার বাচ্চার ঠান্ডা জনিত যেকোনো অসুখের জন্য আপনি নিয়মিত পরিমানমতো এই টোফেন সিরাপটি সেবন করাতে পারেন। শুধু ঠান্ডা, সর্দিকাশি এবং শ্বাসকষ্ট নয়, এই টোফেন সিরাপ আরও অনেক গুলো অসুখের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

 

টোফেন সিরাপের কাজ কি ? 

 

টোফেন সিরাপের কাজ কি ?
বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি ?

টুফেন সিরাপ শুধু ঠান্ডার প্রতিরোধকই নয়। এই টোফেন সিরাপকে আরও বেশ কয়েকটি অসুখের প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

তবে টোফেন সিরাপ প্রধানত ঠান্ডা জনিত অসুখের জন্যই সেবন করানো হয়ে থাকে। ছোট বাচ্চাদের শীতের সময়ই বেশি অসুখ দেখা যায়। তার মধ্যে প্রধান অসুখই হচ্ছে ঠান্ডা সর্দিকাশি।

 

দেখা যায় খুব সকালে আবহাওয়া অনেক ঠান্ডা থাকে কিন্তু বেলা যখন বেড়ে যেতে থাকে তখন আবার আবহাওয়া অনেক গরম হয়ে যায় এবং বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে আবার ঠান্ডা বেড়ে যায়।

আবহাওয়ার ঘন ঘন এই পরিবর্তনের কারনে আমাদের শরীর খাপ খাওয়াতে না পেরে আমাদের ঠান্ডা লেগে যায়। আর শিশুরা তো আরও খাপ খাওয়াতে পারেনা ফলে তাদের খুব সহজেই ঠান্ডা লেগে যায়।

 

তাই এমন দিনে বাচ্চাদের উপর আমাদের সবসময় নজর রাখতে হবে। তাদেরকে বিশেষ ভাবে যত্ন নিতে হবে।

এত কিছুর পরও বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় এই আবহাওয়ায় খাপ খাওয়াতে না পেরে ঠানডা লেগেই যায়। তাই শিশু বাচ্চাদের ঠান্ডার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ঔষুধ হচ্ছে এই টোফেন সিরাপ। তাই আপনার বাচ্চার ঠান্ডা জনিত অসুখ হলে টোফেন সিরাপ খাওয়াবেন।

 

টোফেন সিরাপ কোন কোন অসুখের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে তা নিচে তুলে ধরা হলো।

১. বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে টোফেন সিরাপ সেবন করাতে পারেন।

২. বাচ্চাদের সর্দিকাশি হলে আপনি তাকে টোফেন সিরাপ সেবন করাতে পারেন।

৩. শ্বাসকষ্ট হলে টোফেন সিরাপ অনেক কার্যকরী একটি ঔষধ।

৪. প্রাপ্ত বয়স্কদের এলার্জি হলে এই টোফেন সিরাপ অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

৫. চোখের মধ্যে চুলকানি হলে এই টোফেন সিরাপ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী একটি ঔষধ।

 

আপনার বাচ্চা বা বাড়ির যেকোনো সদস্যের এই অসুখ গুলোর একটি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তাদের টোফেন সিরাপ সেবন করাতে পারেন। তবে টোফেন সিরাপ বাচ্চাদের ঠান্ডা, সর্দিকাশি এবং শ্বাসকষ্ট এই অসুখ গুলোর প্রতিকারের জন্যই সবচেয়ে কার্যকারী হয়ে থাকে।

তবে আপনার বাচ্চার ঠান্ডা জনিত কোন অসুখ হলে আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এই টোফেন সিরাপটি সেবন করাবেন। এতে করে দেখা যাবে আপনার বাচ্চার ঠান্ডা অনেক তারাতারি ভালো হয়ে যাবে।

 

বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগলে আপনি খুবই সতর্ক থাকবেন কেননা বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় এই ঠান্ডা থেকে বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রেগ হয়ে যায়। নিউমোনিয়া রোগ হলে দেখা যায় আপনার বাচ্চার অবস্থা অনেক গুরুতর হয়ে যাবে।

তাই আপনার বাচ্চার ঠান্ডা, সর্দি কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হলে খুব সতর্ক থাকবেন এবং তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত টোফেন সিরাপ সেবন করাবেন।

 

টোফেন সিরাপের ক্ষতিকর দিক গুলো।

 

টোফেন সিরাপের ক্ষতিকর দিক গুলো।
টোফেন সিরাপের ক্ষতিকর দিক গুলো।

 

আমরা জানি সব ঔষধের যেমন ভালো দিক রয়েছে তার পাশাপাশি সে ঔষধের অনেক সাইট এফেক্টও রয়েছে। তাই টেফেন সিরাপের ক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম নয়। তাই আমরা যখন আমাদের বাচ্চা বা আমরা যেকোনো ঔষধ সেবন করবো তখন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তা পরিমান মতো সেবন করবো।

 

শুধু পরিমান মতো সেবন করা নয়, ধরুন আপনার জ্বর হয়েছে এখন আপনি একটি ঔষধ সেবন করছেন তা জ্বরের জন্য কার্যকারী নাকি সেটিও খেয়াল রাখতে হবে। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় বাচ্চার একটি অসুখ হলে মানুষের মুখ থেকে শুনেন যে এই রোগের জন্য এই ঔষুধটি খাওয়াতে হবে।

 

পরে আপনি মানুষের মুখে শুনেই ফার্মেসি থেকে সে ঔষধটি নিয়ে এসে বাচ্চাকে সেবন করান। না এমনটি করা যাবে না এটি একটি ভুল কাজ। বাচ্চাদের ব্যাপারে আপনাকে অনেক সতর্ক থাকতে হবে কেননা তাদের একটু থেকেই অনেক বড় কিছু হয়ে যেতে পারে।

 

তাই এই ভুল গুলে কোনো ভাবেই করা যাবে না। আপনার বাচ্চার ঠান্ডা জনিত অসুখের জন্য টোফেন সিরাপ খাওয়াবেন তবে সেটা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পরিমান মতো ঔষধ খাওয়াতে হবে। মনে রাখবেন এই যেমন প্রান বাঁচাতে তেমন প্রান কেড়ে নিতেও পারে। তাই বাচ্চা হোক বা বড় ঔষধ সেবনের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

 

বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম।

 

বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম।
বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম।

 

আপনার বাচ্চাকে টোফেন সিরাপ খাওয়ানোর সময় বেশকিছু নিয়ম মেনে টোফেন সিরাপটি খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার বাচ্চার অসুখের তীব্রতা কতটা সে অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে টোফেন সিরাপটি সেবন করাতে হবে।

 

তবে সাধারন ক্ষেত্রে ডাক্তাররা যে নিয়মে বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ করাতে বলে তা নিচে উল্লেখ করা হলো:

১. আপনার বাচ্চার বয়স যদি ১ বছর হয় তাহলে তাকে হাপ চামচ এক দিনে ২ বার সকালে ও রাতের বেলা সেবন করাতে হবে।

২.  আপনার বাচ্চার বয়স যদি এব বছরের বেশি অথবা ১ থেকে ৩ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে তাকে এক চামচ করে এক দিনে ২ বার সকাল ও রাতের বেলা সেবন করাতে হবে।

৩. আপনার বাচ্চার বয়স যদি তিন বছরের বেশি অথবা ৩ থেকে ৬ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে তাকে দেড় চামচ করে এক দিনে ২ বার সকাল ও রাতের বেলা সেবন করাতে হবে।

৪. আপনার বাচ্চার বয়স যদি ছয় বছরের বেশি অথবা ৬ থেকে ১২ বছরের মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে তাকে দুই চামচ করে এক দিনে ২ বার সকাল ও রাতের বেলা সেবন করাতে হবে।

 

টোফেন সিরাপ এর দাম।

 

 বাচ্চাদের টোফেন সিরাপ এর কাজ কি ?
টোফেন সিরাপ এর দাম।

 

টোফেন সিরাপ এর মূল্য ফার্মেসি বেধে ভিন্ন হতে পারে। দেখা যায় টোফেন সিরাপের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় একেক দাম রাখা হয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারনে টোফেন সিরাপের মূল্য উঠা নামা করে। তবে সাধারন অবস্থায়। ১০০ মিলি সিরাপের মূল্য ৭৫/ টাকা।

 

পোস্ট টি ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

 

ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *